আসলে ৭-সিটার এমপিভি-র কথা উঠলে প্রথম যে নামটি মনে আসে, সেটি হল Maruti Ertiga। বহু বছর ধরে বাজারে শীর্ষস্থানে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এই গাড়িটি। এমনকী সবথেকে বেশি বিক্রি হওয়া গাড়ির মধ্যে অন্যতম। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের অগাস্টে Ertiga-র ১২৩১৫ ইউনিট বিক্রি হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, চলতি মাসেও এর বিক্রয় ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সেই জনপ্রিয়তায় ভাগ বসাতে আসছে Citroen C3 Aircross। কিন্তু এর মধ্যে এমন কী রয়েছে? সেটাই জেনে নেওয়া যাক ৷
advertisement
আরও পড়ুন- অবসরকালীন জীবনটা নিশ্চিন্তে আরামসে কাটিয়ে দিতে চাইছেন? রইল দুর্দান্ত কয়েকটি জায়গার হদিশ
Citroen C3 Aircross-এর বিশেষত্ব ?
প্রারম্ভিক এক্স-শোরুম মূল্য ৯.৯৯ লক্ষ টাকায় গাড়িটি বাজারে আনা হয়েছে। এর টপ ভ্যারিয়েন্টের দাম ১২.১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত (এক্স-শোরুম)। মূলত এই গাড়িটি তিনটি ভ্যারিয়েন্টে লঞ্চ করেছে – ইউ, প্লাস এবং ম্যাক্স। এই এসইউভি-তে মিলবে ৫-সিটার এবং ৭-সিটার উভয় ধরনের কনফিগারেশন। ৭-সিটার কনফিগারেশনের ক্ষেত্রে তৃতীয় সারির সিটগুলি রিমুভেবল।
ইঞ্জিন এবং স্পেসিফিকেশন:
Citroen C3 Aircross-এ রয়েছে ১.২ লিটার টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন। যা ১১০ বিএইচপি শক্তি এবং ১৯০ এনএম টর্ক উৎপাদন করে। বর্তমানে এই এসইউভি শুধুমাত্র ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশনে আনা হয়েছে। কোম্পানির দাবি, এই ইঞ্জিনটি ফুয়েল এফিশিয়েন্ট। যা সহজেই ১৮.৫ কিলোমিটার মাইলেজ দিতে পারে।
ফিচার্স বা বৈশিষ্ট্য:
Citroen C3 Aircross-এ ওয়্যারলেস অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং Apple CarPlay কানেক্টিভিটি-সহ একটি ১০.২ ইঞ্চি ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম এবং ৭ ইঞ্চি ডিজিটাল ড্রাইভার ডিসপ্লে থাকছে। এতে স্টিয়ারিং-মাউন্টেড অডিও কন্ট্রোল এবং ম্যানুয়াল এসি-ও রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য এই গাড়িতে সামনের দিকে ডুয়াল এয়ারব্যাগ, ইবিডি-সহ এবিএস, হিল-হোল্ড অ্যাসিস্ট, রিয়ার পার্কিং সেন্সর, রিভার্স ক্যামেরা এবং একটি টায়ার প্রেশার মনিটরিং সিস্টেম (TPMS)-ও থাকবে।
Ertiga-র জায়গা নিতে পারবে কি?
ইঞ্জিনের নিরিখে Citroen C3 Aircross গাড়িটি Ertiga-র তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। কিন্তু কোম্পানি তার বেস ট্রিমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য প্রদান করেনি। অথচ সেগুলি কিন্তু Ertiga-তে রয়েছে। C3 Aircross-এর বেস ভ্যারিয়েন্ট (ইউ)-এ রয়েছে ৫-সিটার কনফিগারেশন। এই গাড়িটিতে অবশ্য ৭-সিটারের ভ্যারিয়েন্টের মতো ছাদে মাউন্ট করা এসি ভেন্ট নেই। তবে অবশ্য বেস-স্পেক মডেলে টপ-স্পেক ম্যাক্স ট্রিমের প্রায় সব রকম নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যদিও এতে ১০.২ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন, স্পিকার, রিভার্স ক্যামেরা, রিয়ার ওয়াইপার, রিয়ার ডিফগার এবং ইউএসবি চার্জার নেই। এই সমস্ত ত্রুটিগুলি উপেক্ষা করলে Citroen C3 Aircross কিন্তু সত্যি সত্যিই Ertiga-কে জোর টক্কর দিতে পারে!