iRecorder Screen Recorder নামের সেই অ্যাপটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গুগল প্লে স্টোরে পথচলা শুরু করে। ইউজাররা তাঁদের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের স্ক্রিন রেকর্ড করতে পারেন এই অ্যাপের সাহায্যে। ESET গবেষক লুকাস স্টেফানকো মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি পোস্টে জানিয়েছেন যে, ১১ মাস পরে অ্যাপটিতে নতুন ফিচার যোগ করতে আপডেট করা হয়েছিল। এতে ডিভাইসের মাইক চালু করা, শব্দ রেকর্ড করা, সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা, ডিভাইসে সংরক্ষিত অডিও এবং অন্যান্য সংবেদনশীল ফাইল আপলোড করার ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
advertisement
প্রতি ১৫ মিনিটে গোপনীয় রেকর্ডিং –
গোপন এই রেকর্ডিং করার জন্য AhMyth থেকে কোড ব্যবহার করে প্রয়োগ করা হয়। এটি হল একটি ওপেন সোর্স, RAT (রিমোট অ্যাক্সেস ট্রোজান), যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আরও বেশ কয়েকটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে যুক্ত করা হয়েছে। একবার iRecorder-এ RAT যোগ করার পরে অ্যাপের সমস্ত ইউজাররা আপডেট পায়, যা তাদের ফোনগুলিকে অডিও রেকর্ড করতে এবং একটি এনক্রিপ্ট করা চ্যানেলের মাধ্যমে ডেভেলপার-নির্ধারিত সার্ভারে তা পাঠাতে দেয়।
আরও পড়ুন: মাত্র ১ টাকায় তারাপীঠ ভ্রমণ! কী করে সম্ভব? জানলে আপনিও যেতে চাইবেন!
স্টেফানকো তাঁর ল্যাবের ডিভাইসে বারবার অ্যাপটি ইনস্টল করেছেন এবং প্রতিবারই একই জিনিস দেখা যায়। দেখা যায় যে, অ্যাপটি এক মিনিটের অডিও রেকর্ড করে তা ক্ষতিকর কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল সার্ভারে পাঠানোর নির্দেশনা পায়, যা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খুবই মারাত্মক। একই ভাবে অ্যাপটি প্রতি ১৫ মিনিটে একই ধরনের নির্দেশনা পেতে থাকে।
আরও পড়ুন: ‘আমি উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করেছি!’ ফেলের খুশিতে ভিডিও বানিয়ে যা করল ছাত্র! ভাইরাল
Google সার্ভারে উপলব্ধ বেশ কয়েকটি অ্যাপে আগেও ম্যালওয়্যার পাওয়া গিয়েছিল। সম্প্রতি আবার গুগল প্লে-র অ্যাপে ম্যালওয়্যার পাওয়া গিয়েছে। Google-এর প্ল্যাটফর্মে ম্যালওয়্যার পাওয়া গেলে, টেক জায়ান্ট কোম্পানি সেই গবেষকদের ধন্যবাদ জানানোর বাইরে অন্য কোনও ধরনের মন্তব্য করে না। কোম্পানির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে এই সম্পর্কে জানার সঙ্গে সঙ্গে ম্যালওয়্যার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।