কিন্তু সম্প্রতি OpenAI-এর প্রাক্তন সহ-প্রতিষ্ঠাতা Ilya Sutskever এক সাহসী দাবি করে একটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, মস্তিষ্ক যদি বায়োলজিক্যাল কম্পিউটার হয়, তাহলে আমাদের ডিজিটাল ব্রেন বা ডিজিটাল মস্তিষ্ক থাকবে কেন? তবে তাঁর এই মতামত ভাল ভাবে নিতে পারেননি অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট এবং সেন্টার ফর কনশাসনেস স্টাডিজের ডিরেক্টর স্টুয়ার্ট হ্যামারোফ।
advertisement
আরও পড়ুন: বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি! সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া, দক্ষিণের কোন কোন জেলায় দুর্যোগের সম্ভাবনা? জেনে নিন
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বে ট্যুইটার)-এ একটি পোস্টে টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে Sutskever-এর সাম্প্রতিক এক ভাষণের ক্লিপ ভাগ করে নিয়েছেন স্টুয়ার্ট। আগে Google Brain-এ কাজ করেছেন Sutskever। সেই সঙ্গে নিউরাল নেটওয়ার্ক AlexNet-এর সহ-আবিষ্কর্তা ছিলেন তিনি। স্টুয়ার্টের পোস্ট করা সেই ক্লিপে Sutskever-কে বলতে শোনা গিয়েছে যে, “ধীরে ধীরে কিন্তু নিশ্চিত রূপে আমরা এআই-কে আরও উন্নত হতে দেখব। আর একটা সময় আসবে, যখন এআই সেই কাজগুলি করবে, যেগুলি আমরা করতে পারি। শুধু আমাদের করা কিছু কাজ নয়, বরং আমাদের করা সমস্ত কাজই করতে সক্ষম হবে। আমি যা কিছু শিখতে পারি, আপনাদের মধ্যে যে কেউ যা কিছু শিখতে পারেন, এআই-ও কিন্তু সেই সব কিছু শিখতে পারে।”
এরপর তিনি নিজের এই সাহসী ভবিষ্যদ্বাণীর পিছনে থাকা কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি প্রশ্ন করেন যে, “তাহলে আমরা এটা কীভাবে জানব? কীভাবে আমি এতটা নিশ্চিত হব? এর কারণ হল – আমাদের সকলের একটা মস্তিষ্ক রয়েছে। আর এই মস্তিষ্ক হল একটি বায়োলজিক্যাল কম্পিউটার। সেই কারণে আমাদের একটি মস্তিষ্ক রয়েছে। তাই একটা ডিজিটাল কম্পিউটার, একটা ডিজিটাল ব্রেন এই একই কাজ করতে পারবে না?” এই বলে Sutskever শেষ করেন যে, “কেন এআই এই সমস্ত কাজ করতে সক্ষম হবে, তার এক-বাক্যের সার-সংক্ষেপ আসলে এটি।”
কিন্তু তাঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করতে পারেননি স্টুয়ার্ট। তিনি লিখেছেন যে, “এক্ষেত্রে ভুল বলছেন Ilya Sutskever। মস্তিষ্ক কোনও ডিজিটাল কম্পিউটার নয় আর একেবারেই কম্পিউটার নয়, অনেকটা কোয়ান্টাম অর্কেস্ট্রার মতো। বায়োলজি আসলে অর্গ্যানিক কার্বনের উপর নির্ভর করে। যা মস্তিষ্কের সবচেয়ে প্রচুর প্রোটিন টিউবুলিন দ্বারা গঠিত মাইক্রোটিউবুলে হার্ৎজ, কিলোহার্ৎজ, মেগাহার্ৎজ, গিগাহার্ৎজ এবং টেরাহার্ৎজে কোয়ান্টাম প্রক্রিয়া এবং স্ব-সদৃশ গতিবিদ্যাকে সাপোর্ট করে।”
মেশিন এবং যন্ত্রের মধ্যে থাকা বড়সড় ব্যবধানের দিকটাও তুলে ধরেছেন স্টুয়ার্ট। তিনি বলেন, “আর কম্পিউটার শিখতে পারলেও, তারা সচেতন নয়, অনুভব করতে পারে না এবং তাদের কোনও অন্তর্নিহিত প্রেরণা নেই। এই কারণেই কোনও এজিআই নেই।”