TRENDING:

মানুষের মাথাও বায়োলজিক্যাল কম্পিউটার! প্রাক্তন OpenAI বিজ্ঞানীর কথা মানতে নারাজ অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট, কেন?

Last Updated:

শুধু তা-ই নয়, চাকরির বাজারেও দেখা যাচ্ছে এআই-এর প্রভাব। বিশেষ করে যাঁরা রুটিনমাফিক কাজ বা পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ করেন, তাঁদের চাকরির কেড়ে নিচ্ছে এআই।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
যত দিন যাচ্ছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) সংক্রান্ত বিতর্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে। ধীরে ধীরে প্রত্যেকের জীবনে একটু একটু করে জায়গা করে নিচ্ছে এআই। শুধু তা-ই নয়, চাকরির বাজারেও দেখা যাচ্ছে এআই-এর প্রভাব। বিশেষ করে যাঁরা রুটিনমাফিক কাজ বা পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ করেন, তাঁদের চাকরির কেড়ে নিচ্ছে এআই।
মানুষের মাথাও বায়োলজিক্যাল কম্পিউটার! OpenAI বিজ্ঞানীর কথা মানতে নারাজ অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট, কেন?
মানুষের মাথাও বায়োলজিক্যাল কম্পিউটার! OpenAI বিজ্ঞানীর কথা মানতে নারাজ অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট, কেন?
advertisement

কিন্তু সম্প্রতি OpenAI-এর প্রাক্তন সহ-প্রতিষ্ঠাতা Ilya Sutskever এক সাহসী দাবি করে একটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, মস্তিষ্ক যদি বায়োলজিক্যাল কম্পিউটার হয়, তাহলে আমাদের ডিজিটাল ব্রেন বা ডিজিটাল মস্তিষ্ক থাকবে কেন? তবে তাঁর এই মতামত ভাল ভাবে নিতে পারেননি অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট এবং সেন্টার ফর কনশাসনেস স্টাডিজের ডিরেক্টর স্টুয়ার্ট হ্যামারোফ।

advertisement

আরও পড়ুন: বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি! সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া, দক্ষিণের কোন কোন জেলায় দুর্যোগের সম্ভাবনা? জেনে নিন

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বে ট্যুইটার)-এ একটি পোস্টে টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে Sutskever-এর সাম্প্রতিক এক ভাষণের ক্লিপ ভাগ করে নিয়েছেন স্টুয়ার্ট। আগে Google Brain-এ কাজ করেছেন Sutskever। সেই সঙ্গে নিউরাল নেটওয়ার্ক AlexNet-এর সহ-আবিষ্কর্তা ছিলেন তিনি। স্টুয়ার্টের পোস্ট করা সেই ক্লিপে Sutskever-কে বলতে শোনা গিয়েছে যে, “ধীরে ধীরে কিন্তু নিশ্চিত রূপে আমরা এআই-কে আরও উন্নত হতে দেখব। আর একটা সময় আসবে, যখন এআই সেই কাজগুলি করবে, যেগুলি আমরা করতে পারি। শুধু আমাদের করা কিছু কাজ নয়, বরং আমাদের করা সমস্ত কাজই করতে সক্ষম হবে। আমি যা কিছু শিখতে পারি, আপনাদের মধ্যে যে কেউ যা কিছু শিখতে পারেন, এআই-ও কিন্তু সেই সব কিছু শিখতে পারে।”

advertisement

আরও পড়ুন: মানুষের ভুল নাকি জোড়া ইঞ্জিনের বিভ্রাট? কেন ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, বড় কারণ জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন বায়ুসেনাপ্রধান

এরপর তিনি নিজের এই সাহসী ভবিষ্যদ্বাণীর পিছনে থাকা কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি প্রশ্ন করেন যে, “তাহলে আমরা এটা কীভাবে জানব? কীভাবে আমি এতটা নিশ্চিত হব? এর কারণ হল – আমাদের সকলের একটা মস্তিষ্ক রয়েছে। আর এই মস্তিষ্ক হল একটি বায়োলজিক্যাল কম্পিউটার। সেই কারণে আমাদের একটি মস্তিষ্ক রয়েছে। তাই একটা ডিজিটাল কম্পিউটার, একটা ডিজিটাল ব্রেন এই একই কাজ করতে পারবে না?” এই বলে Sutskever শেষ করেন যে, “কেন এআই এই সমস্ত কাজ করতে সক্ষম হবে, তার এক-বাক্যের সার-সংক্ষেপ আসলে এটি।”

advertisement

কিন্তু তাঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করতে পারেননি স্টুয়ার্ট। তিনি লিখেছেন যে, “এক্ষেত্রে ভুল বলছেন Ilya Sutskever। মস্তিষ্ক কোনও ডিজিটাল কম্পিউটার নয় আর একেবারেই কম্পিউটার নয়, অনেকটা কোয়ান্টাম অর্কেস্ট্রার মতো। বায়োলজি আসলে অর্গ্যানিক কার্বনের উপর নির্ভর করে। যা মস্তিষ্কের সবচেয়ে প্রচুর প্রোটিন টিউবুলিন দ্বারা গঠিত মাইক্রোটিউবুলে হার্ৎজ, কিলোহার্ৎজ, মেগাহার্ৎজ, গিগাহার্ৎজ এবং টেরাহার্ৎজে কোয়ান্টাম প্রক্রিয়া এবং স্ব-সদৃশ গতিবিদ্যাকে সাপোর্ট করে।”

advertisement

মেশিন এবং যন্ত্রের মধ্যে থাকা বড়সড় ব্যবধানের দিকটাও তুলে ধরেছেন স্টুয়ার্ট। তিনি বলেন, “আর কম্পিউটার শিখতে পারলেও, তারা সচেতন নয়, অনুভব করতে পারে না এবং তাদের কোনও অন্তর্নিহিত প্রেরণা নেই। এই কারণেই কোনও এজিআই নেই।”

বাংলা খবর/ খবর/প্রযুক্তি/
মানুষের মাথাও বায়োলজিক্যাল কম্পিউটার! প্রাক্তন OpenAI বিজ্ঞানীর কথা মানতে নারাজ অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট, কেন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল