গ্লোবাল সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং অ্যামাজন ইন্ডিয়ার কান্ট্রি হেড অমিত আগরওয়াল (Amit Agarwal) বলেন, "কম্পিউটার সায়েন্স কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কোর্স। আগেভাগেই কম্পিউটার সায়েন্স শিক্ষা নিয়ে ভারতের যুব সম্প্রদায় সেরা ভবিষ্যৎ তৈরির সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাবে।" তিনি আরও বলেন, মানসম্মত কোর্সে বিষয়বস্তুর অভাব, স্থানীয় ভাষায় উন্নত শিক্ষার সুযোগ না থাকা এবং রোল মডেলের অভাব, এমন অনেক কিছুই আছে, যা যুব সম্প্রদায়কে কম্পিউটার সায়েন্স পড়ে কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখতে বাধা দেয়। তরুণদের মধ্যে প্রতিভা এবং আবেগ ছড়িয়ে আছে, অথচ সুযোগ নেই। আমরা এই বিভক্তির বিষয়ে সচেতন।"
advertisement
আগরওয়াল উল্লেখ করেছেন যে অ্যামাজন ফিউচার ইঞ্জিনিয়ার কোর্স করলে এক মিলিয়নেরও বেশি তরুণ-তরুণীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা এবং ফ্রান্সে চাকরির সুযোগ রয়েছে। তাঁর আরও যোগ, ভারতে শৈশব থেকে কম্পিউটার সায়েন্স শিক্ষার প্রসারে অ্যামাজন কেন্দ্রীয় সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবে। জানা গিয়েছে, ভারতে অ্যামাজনের কম্পিউটার সায়েন্স কোর্স প্রাথমিকভাবে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা করতে পারবেন। এছাড়াও শিক্ষক এবং এডুকেটরদের কম্পিউটার সায়েন্সের উপরে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। যাতে তাঁরা ছাত্র-ছাত্রীদের আরও ভালভাবে পড়াতে পারেন।
আরও পড়ুন- আগামী মাসে আসতে চলেছে বাজারে, Windows 11 কী ভাবে ইনস্টল করবেন?
পিপুল ইন্ডিয়ার (Peepul India) প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও কৃতি ভারুচা (Kruti Bharucha) জানিয়েছেন, তাঁদের সংস্থা গত কয়েক বছর ধরে সরকারি স্কুলগুলির সঙ্গে কাজ করে আসছে। শিক্ষার সুযোগ পেয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু তাদের জীবন নয়, বরং তাদের পরিবার এবং শিক্ষকদের জীবনও বদলে দিতে পারে। তিনি বলেন, "কম্পিউটার সায়েন্স শেখার মাধ্যমে ক্রিটিক্যাল চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়বে। তাতে ভারতে বঞ্চিত শিশুরা সুযোগ না পাওয়ার বাধা ভেঙে এগিয়ে যেতে পারবে।"
অ্যামাজন এই বিষয়ে Code.org-র সঙ্গে কাজ করছে। এটি একটি বৈশ্বিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যারা কম্পিউটার সায়েন্স শিক্ষার জন্য পৃথিবীব্যাপী কাজ করে। Code.org-র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হাদি পারটোভি (Hadi Partovi) বলেন, "আমরা ভারতে অ্যামাজন ফিউচার ইঞ্জিনিয়ারের অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় আছি। যাতে পড়ুয়াদের উচ্চমানের পাঠ্যক্রম পড়ানো যায়। যাতে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা একবিংশ শতাব্দীর মৌলিক বিষয়গুলি শিখতে পারে।"
স্থানীয় খুঁটিনাটি বিষয়গুলি বিবেচনায় রেখে, পাঠ্যক্রমটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের জন্য প্রাসঙ্গিক করা হয়েছে। কোডিংয়ের মৌলিক বিষয়গুলির পাশাপাশি আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (Artificial Intelligence), মেশিন লার্নিং (Machine Learning) এবং ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (Natural Language Processing)-সহ নানা পাঠ্যক্রম ভারতীয় ভাষায় পড়ানো হবে। এছাড়াও থাকছে 'ক্লাস চ্যাট', যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি শিল্পের কেরিয়ার বোঝার জন্য অ্যামাজনিয়ানদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবে। থাকছে 'অ্যামাজন সাইবার রোবটিক্স চ্যালেঞ্জ', যেখানে শিক্ষার্থীরা রোবট কোডিং করার সময় প্রোগ্রামিংয়ের প্রাথমিক বিষয়গুলি শিখবে এবং কী ভাবে অ্যামাজন রোবটিক্স ব্যবহার করে সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ পণ্য সরবরাহ করে তা জানতে পারবে।