অস্বাভাবিক নিশ্চয়ই! তবে ২০১৪ সালে যখন Amazon-এ এই রকম একটা দারুণ অফার দেখেছিলেন ওড়িশার কলেজ-পড়ুয়া সুপ্রিয় রঞ্জন মহাপাত্র, তিনি অবাক হওয়ার চেয়েও আনন্দিত হয়েছিলেন বেশি। কারণ কলেজ প্রোজেক্টের কাজ শেষ করার জন্য তাঁর একটা ল্যাপটপ প্রয়োজন ছিল। ফলে, তিনি সব কিছু ভালো মতো দেখে নিয়ে ল্যাপটপটি অর্ডার করে দেন।
আর তার পরেই দেখা দেয় বিপত্তি! অর্ডার কনফার্ম করার একটু পরেই তাঁর কাছে Amazon-এর তরফ থেকে অর্ডার ক্যানসেলেশনের মেইল এসে যায়। সেই মেলে অর্ডারটি কেন ক্যানসেল করা হল, তার যুক্তিসঙ্গত কোনও কারণ দেখানো হয়নি সংস্থার তরফে।
advertisement
খবর বলছে যে এর পরে সুপ্রিয় Amazon কাস্টমার কেয়ারে ফোন করেন একাধিকবার। কিন্তু সমস্যার সুরাহা হয়নি। কাস্টমার কেয়ার থেকে তাঁকে শুধু জানানো হয়েছিল যে দামসংক্রান্ত গণ্ডগোলের জন্য এরকম ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে পরে আবার নতুন করে একটি ল্যাপটপের অর্ডার দেন তিনি। কিন্তু সেটাও তাঁর কাছে ঠিক সময় মতো এসে পৌঁছয়নি। সব মিলিয়ে, কলেজের প্রোজেক্ট জমা দিতে দেরি হয়ে যায়, তা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারেননি ওই আইন-পড়ুয়া।
কিন্তু তা বলে তিনি হাল ছেড়ে দেননি। সুপ্রিয় ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগ করেন ওড়িশা স্টেট কনজিউমার ডিসপিউট রিড্রেসাল কমিশনে। তাঁর দীর্ঘ লড়াই অবশেষে সার্থক হয়েছে। সম্প্রতি সরকার রায় দিয়েছে যে আর্থিক প্রতারণা এবং মানসিক হয়রানির জন্য Amazon-কে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ক্ষতিপূরণের অঙ্কটাও নেহাত কম নয়। রায় মোতাবেকে Amazon ৪০ হাজার টাকা দেবে সুপ্রিয়কে। পাশাপাশি, মামলা চালানোর খরচ হিসেবে এবং বিক্রেতাকেও অপদস্থ করার জন্য অতিরিক্ত দেবে ৫ হাজার টাকা।
তবে, সুপ্রিয়র অর্ডার করা প্রথম ল্যাপটপটি কোন ব্র্যান্ডের ছিল, তা আদালত জানায়নি। শুধু জানা গিয়েছে যে তার আসল দাম ছিল ছিল ২৩,৪৯৯ টাকা। এটাই ১৯০ টাকায় বিক্রির অফার দিয়েছিল Amazon।