তারপরই এয়ারটেল, জিও, এবং ভিআই-সহ সমস্ত বড় টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি ভারতে তাদের ৫জি পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করেছে৷ জিও এবং ভিআই-এর পরিষেবা এখনও চালু হয়নি। এয়ারটেল ইতিমধ্যেই ভারতের কয়েকটি শহরে গ্রিনলিট ৫জি পরিষেবা দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বারাণসী, বেঙ্গালুরু, গুরুগ্রাম, এবং হায়দরাবাদ।
advertisement
শুধু তাই নয়, এয়ারটেল জানিয়েছে যে তাদের বর্তমান ৪জি সিমগুলিও ৫জি নেটওয়ার্কে কাজ করতে পারবে। কিন্তু কী ভাবে পাওয়া যাবে দ্রুততর ইন্টারনেট পরিষেবা! নিজের স্মার্টফোনে এয়ারটেল ৫জি সক্রিয় করার জন্য কী কী করতে হবে তা দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
আরও পড়ুন- বাচ্চারা থাক বাড়িতেই! সম্পর্কের উষ্ণতা ফেরাতে পাড়ি দিন দেশের এই কয়েকটি অ্যাডাল্ট হোটেলে
প্রথমেই জানতে হবে ৫জি আসলে কী?
সেলুলার নেটওয়ার্ক স্পেসের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চলেছে এই ৫জি। বলা ভাল এটি পঞ্চম-প্রজন্মের প্রযুক্তি, যা উল্লেখযোগ্য ভাবে দ্রুত ডাউনলোড এবং আপলোডের গতি প্রদান করতে পারে। একযোগে ৪কে স্ট্রিমিং করতে পারে। এমনকী, কম লেটেন্সি-সহ ক্লাউড গেমিং-এর সক্ষমতা তৈরি করতে পারে। ৫জি দ্রুত ডেটা স্থানান্তর করতে সক্ষম এবং ক্লাউড কম্পিউটিং এবং অবস্থান ট্র্যাকিংয়ের মতো নির্দিষ্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটিকে ব্যবহার করে ব্যবসায় সহায়তা করতে পারে।
কী ভাবে নিজের স্মার্টফোনে ৫জি নেটওয়ার্ক সক্রিয় করা যাবে?
এ জন্য নির্দিষ্ট এলাকায় ৫জি পরিষেবা চালু থাকতে হবে। একটি সক্রিয় রিচার্জ প্ল্যান থাকলেই এই পরিষেবা পাওয়া সম্ভব বলে জানা গিয়েছে। তারপর এই পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। নিজের স্মার্টফোনে 'সেটিংস' অ্যাপটি খুলতে হবে। এরপরে, 'মোবাইল নেটওয়ার্ক' বা অনুরূপ সেটিং নির্বাচন করতে হবে। যে সিমটিতে গ্রাহক ৫জি পরিষেবা চালু করতে চান সেটি নির্বাচন করতে হবে। এখান থেকে, 'পছন্দের নেটওয়ার্ক টাইপ' বিকল্পটি নির্বাচন করতে হবে। এ বার কেবল আলতো চাপ দিয়ে ৫জি নেটওয়ার্ক অপশন নির্বাচন করে নিতে হবে ৷ ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলে যদি ৫জি পরিষেবা চালু হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই স্টেটাস বারে ৫জি সাইন দেখা যাবে।
এয়ারটেল ৫জি যে ব্যান্ডে সক্ষম—
চলতি বছর অগাস্টেই ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম হয়ে গিয়েছে। সে সময়, এয়ারটেল নিম্নলিখিত ৫জি ব্যান্ডগুলি অধিগ্রহণ করেছিল।
এন৮: ৯০০ এমএইচজেড
এন৩: ১৮০০ এমএইচজেড
এন১: ২১০০ এমএইচজেড
এন৭৮: ৩৩০০ এমএইচজেড
এন২৫৮: ২৬ জিএইচজেড
টেলিকম জায়ান্ট এয়ারটেল প্রধানত সাব-গিগাহার্টজ এবং উচ্চ-গতির ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডগুলির অধিকার অর্জন করেছে যাতে এটি উপস্থিত সমস্ত অপারেটিং শহরগুলিতে উচ্চ ইন্টারনেট গতি সরবরাহ করতে পারে। এ ছাড়াও, এয়ারটেল দেশে একটি অত্যাধুনিক ৫জি পরিকাঠামো তৈরি এবং স্থাপনের জন্য নোকিয়া, স্যামসাং এবং এরিকসন-এর মতো সংস্থাগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে ৷
এয়ারটেল ৫জি ব্যবহার করতে পারবেন কারা?
প্রথমেই দেখে নিতে হবে, গ্রাহকের বর্তমান স্মার্টফোনটি ৫জি সমর্থন করে কি না ৷
এখনও পর্যন্ত ওপো, ওয়ানপ্লাস, শাওমি, রিয়েলমি এবং ভিভো ৫জি-সক্ষম স্মার্টফোন বাজারে এনেছে, যাতে এয়ারটেল ৫জি কাজ করতে পারে ৷ এ ছাড়া ফোনের বক্স এবং যে কোনও '৫জি' টেক্সট চেক করে ফোন ৫জি সক্ষম কি না তা জেনে নেওয়া যেতে পারে। বাক্সের পিছনের লেবেলগুলিতে ৫জি ব্যান্ডগুলি উল্লিখিত আছে কি না তা দেখে নেওয়া যেতে পারে। তবে এ সব কিছু থাকলেও যেটা খুব প্রয়োজন হবে সেটা হল ৫জি রিচার্জ প্ল্যান। সে বিষয়ে এখনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি অবশ্য।
আরও পড়ুন- ২০ হাজার পাস শেষ, রেড রোডের কার্নিভালের পাসের চাহিদা তুঙ্গে
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আরও কিছু বিষয়—
বর্তমানে, এয়ারটেল কয়েকটি শহরে তার ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করেছে যার মধ্যে রয়েছে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, শিলিগুড়ি, নাগপুর, চেন্নাই এবং বারাণসী । আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও কিছু অঞ্চলে ৫জি পরিষেবা চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এয়ারটেল সিম গ্রাহকরা তাঁদের এলাকায় ৫জি পরিষেবা মিলবে কি না তা পরীক্ষা করতে প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর থেকে ‘এয়ারটেল থ্যাঙ্কস’ অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।
এয়ারটেল ৫জি পরিষেবা ব্যবহার করার জন্য নতুন সিমের প্রয়োজন নেই। বিদ্যমান এয়ারটেল ৪জি সিম ৫জি-র সঙ্গে ফরোয়ার্ড করা যায়। প্রাথমিক ভাবে ৫জি রোলআউট প্ল্যানের অধীনে আটটি শহর পরিষেবা মিলছে। তবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতের সমস্ত প্রধান শহরে পরিষেবা চালু হবে বলে এয়ারটেলের দাবি। ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে সমস্ত শহরতলিতেও তা ছড়িয়ে পড়বে।