এরই মধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (MIT) বিজ্ঞানীরা একটি AI মডেল তৈরি করেছেন যা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে SARS-CoV-2-এর কোন প্রতিরূপ সংক্রমণের নতুন তরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারে।
AI প্রযুক্তি উন্নতির অন্যতম ছায়া পড়ছে চিকিৎসা ক্ষেত্রে। এখনও পর্যন্ত যতগুলি মডেল রয়েছে, তা ভাইরাল সংক্রমণের পূর্বাভাস দিতে পারে। কিন্তু সেই সংক্রমণের ক্ষেত্রে কোন প্রজাতি দায়ী হবে তার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব ছিল না।
advertisement
আরও পড়ুন: শনিবারেই সফল রবি-অভিযান! সূর্যের কাছে সঠিক ঠিকানায় পৌঁছল আদিত্য এল-১
MIT-এর স্লোন স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের রেটসেফ লেভির নেতৃত্বে গবেষক দল ৯ মিলিয়ন সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে দেখেছে। তার ভিত্তিতেই তাঁরা দেখেছেন কোন কোন প্রজাতি আগামী দিনে সংক্রমণ বাড়াতে পারে।
গবেষণার জন্য মোট ৩০টি দেশ থেকে ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (GISAID)-র সাহায্যে। প্রাপ্ত তথ্যের মধ্যে টিকা দেওয়ার হার এবং সংক্রমণের হারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
PNAS Nexus জার্নালে প্রকাশিত গবেষকরা দাবি করেছেন, তাঁরা মেশিন লার্নিং-এর মাধ্যমে ঝুঁকি নির্ণয়কারী মডেল তৈরি করেছেন। এতে দেখা গিয়েছে প্রতিটি দেশে প্রায় ৭২.৮ শতাংশ প্রজাতির ভাইরাস আগামী তিন মাসে প্রতি লক্ষে এক হাজার মানুষকে সংক্রামিত করার ক্ষমতা রাখে।
গবেষকদের তরফে জানান হয়েছে, মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে জেনেটিক সিকোয়েন্সিং, অতিমারীকালীন তথ্য-সহ নানা ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ করে আগামী দিনে কেমন সংক্রমণ ছড়াতে পারে, তার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
পর্যবেক্ষণের এক সপ্তাহ পর ৭২.৮ শতাংশ ক্ষেত্রে পূর্বাভাস মিলে গিয়েছিল। দু’সপ্তাহ পর সেটি ৮০.১ শতাংশ ক্ষেত্রে মেলানো সম্ভব হয়েছে।
তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। শুধু সার্স-কোভ-২ নয়, অন্য শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী অন্য ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, ফ্লু বা অন্য করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও এই গবেষণা করে দেখা প্রয়োজন।