প্রোক্রিয়েট মূলত আইপ্যাডের জন্য সৃজনশীল অ্যাপ তৈরি করে। এদের প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি হল অ্যাডোব এবং ক্যানভা। চলতি সপ্তাহে প্রোক্রিয়েটের সিইও বলেছেন, “আমরা কোনও পণ্যেই জেনারেটিভ এআই ফিচার দেব না।’’ এমন মন্তব্যে হইচই পড়ে গিয়েছে প্রযুক্তি দুনিয়ায়। তবে সৃজনশীল ইউজাররা এতে যে স্বস্তি পাবেন সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: সন্দীপ ঘোষের পরিবারকে-বাড়িতে এবার নিরাপত্তা! নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
advertisement
আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স এখন ‘টক অফ দ্য টাউন’। সবাই এর পিছনে ছুটছে। অনেকেই মনে করছেন, এআই-কে কাজে লাগাতে না পারলে পিছিয়ে পড়তে হবে। এই পরিস্থিতিতে প্রোক্রিয়েটের এমন অবস্থানে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলো বাজারে বাড়তি সুবিধা পাবেন বলাই বাহুল্য। কিন্তু সংস্থা মনে করছে, প্রযুক্তিতে নতুন পদ্ধতি আমদানি করে তারা এই ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন।
একটা কাজ বিভিন্ন ভাবে করতে পারে এআই। এতে কাজ সহজ হয়ে যায়। সময় এবং পরিশ্রম দুইই বাঁচে। পাশাপাশি এটাও সত্য যে এআই-এর কারণে ভবিষ্যতে অনেক মানুষ কাজ হারাবেন। তাই প্রোক্রিয়েট বলছে, “এআই আমাদের ভবিষ্যৎ হতে পারে না।“ আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের ব্যবহার নিয়েও অন্যরকম চিন্তাভাবনা রয়েছে কোম্পানির। তাদের মতে, এআইকে এমন ভাবে ব্যবহার করতে হবে যাতে মানুষের চাকরি বাঁচে। সঙ্গে ডেটা বা তথ্য গোপন থাকে।
এই প্রসঙ্গে নিজেদের ওয়েব পেজে কোম্পানি বলেছে, “আমরা মনে করি মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির সঙ্গে সড়গড় হওয়াটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তাকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। কিন্তু জেনএআই যে পথে চলেছে, সেটা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য ভয়ঙ্কর।’’ এরপরই কোম্পানি জানিয়েছে, গ্রাহকের ডেটা নিরাপদে থাকবে। তথ্য অন্য কারও হাতে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি জেনএআই-কে দূরে রাখার কারণে অনেকের জীবিকাও বাঁচবে।
প্রোক্রিয়েটের বক্তব্য হল, মানুষের স্বার্থে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তাই স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গী চাই। তবে এআই-এর ব্যবহার যে হারে বাড়ছে তাতে কোম্পানি নিজেকে এর থেকে কতদিন দূরে রাখতে পারবে, সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।