টেলিকম সেক্টরে নিরাপত্তা বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে ডিওটি। এর মধ্যে কেওয়াইসি কাঠামোকে শক্তিশালী করা অন্যতম। এই সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকাও ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে। টেলিকম সংস্থাগুলিকে এই নিয়ম মানতে হবে। এর মধ্যে পয়েন্ট অফ সেল (PoS) যেমন ফ্র্যাঞ্চাইজি, ডিস্ট্রিবিউটর এবং এজেন্টদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সিম কার্ড বিক্রির প্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং স্বচ্ছ করাই এর উদ্দেশ্য।
advertisement
নতুন নির্দেশিকায় টেলিকম কোম্পানিগুলিকে প্রতিটি পিওএস যাচাই করতে হবে। এর মধ্যে বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ, পিওএস-এর ব্যবসার জায়গা এবং স্থানীয় বাসস্থানের ঠিকানা যাচাইকরণ, এবং জম্মু-কাশ্মীর, অসম, এবং উত্তর-পূর্ব লাইসেন্স সেবা অঞ্চলে (LSA) পুলিশি যাচাইকরণ রয়েছে। এছাড়াও পিওএসগুলিকে দায়িত্ব, কার্যক্রমের সীমা ইত্যাদি নির্ধারণ করে ইন্টার-সার্ভিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে। চুক্তি লঙ্ঘন করলে সঙ্গে সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে।
নতুন নিয়মে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনও পিওএস প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকে বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করে তাহলে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। এই পরিস্থিতিতে সেই পিওএস যে সব গ্রাহকের রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিল, তাদের কেওয়াইসি ফের যাচাই করা হবে। এছাড়া কোনও পিওএস যদি ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারির পর রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই গ্রাহককে পরিষেবা দেন, তাহলে প্রত্যেক ঘটনার জন্য ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।
কেওয়াইসি প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার জন্য বর্তমান নিয়মে কিছু সংশোধন করেছে ডিওটি। বাল্ক কানেকশন ফ্রেমওয়ার্ক তুলে দেওয়া হয়েছে। বদলে আনা হয়েছে বিজনেস কানেকশন ফ্রেমওয়ার্ক। এতে সিম সক্রিয় করার আগে প্রত্যেক ইউজারের পৃথক কেওয়াইসি যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক। এছাড়া সিম সোয়াপ বা রিপ্লেসমেন্টের ক্ষেত্রেও আরও কড়া হচ্ছে ডিওটি। এক্ষেত্রেও সমস্ত নথিপত্র খুঁটিয়ে দেখার পরই অনুমোদন দেওয়া হবে। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই কাগজ ভিত্তিক কেওয়াইসি বাতিল করা হয়েছে। লোকসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে এই সমস্ত পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন যোগাযোগ ও গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী ড. পেমাসানি চন্দ্রশেখর।