অনায়াসে দাপিয়ে বেড়াবে এই বাইকগুলি। কারণ এই ধরনের বাইকে রয়েছে দারুণ গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এবং শক্তিশালী ইঞ্জিন। এর পাশাপাশি মজবুত লং-ট্র্যাভেল সাসপেনশন সিস্টেম এবং অ্যাডিশনাল অ্যাকসেসরির কারণে প্রবল বৃষ্টিতেও কোনও রকম সমস্যা দেখা দেয় না। ফলে এই বাইকে চেপে কিন্তু কোনও উদ্বেগ ছাড়াই উপভোগ করা যাবে বর্ষার মরশুমকে।
Hero Xpulse 210: দাম ১.৭৫ লক্ষ টাকা
advertisement
বৃষ্টি-বাদলার মরশুমকে তুড়ি মেরে পিছনে ফেলে দিয়ে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য যাঁরা বাইক খুঁজছেন, তাঁদের জন্য আদর্শ হতে পারে Hero Xpulse 210। এই বাইকে রয়েছে 210cc সিঙ্গেল-সিলিন্ডার লিক্যুইড-কুলড ইঞ্জিন। যা ২৪.২ বিএইচপি এবং ২০.৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। এর ২২০ মিমি-র গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সও রয়েছে। যার ফলে এই বাইকটি জলমগ্ন রাস্তা, খানা-খন্দ, খারাপ রাস্তাতেও অনায়াসে ছুটতে পারে।
আরও পড়ুন- পকেটে পড়বে না বাড়তি চাপ, এদিকে দারুণ ফিচার্সে ঠাসা OPPO-র নতুন রেঞ্জ রেনো ১৪, চমকে যাবেন
Suzuki V-Strom SX: দাম ২.১৬ লক্ষ টাকা
অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এই বাইকটি। বৃষ্টির মরশুমের সমস্যা এড়াতে এবং জলমগ্ন রাস্তায় অনায়াসে চলার জন্য এটি দারুণ। এতে রয়েছে 249cc সিঙ্গেল-সিলিন্ডার অয়েল-কুলড ইঞ্জিন। যা ২৬.১৩ বিএইচপি এবং ২২.২ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। এই V-Strom SX-এর রয়েছে ২০৫ মিমি-র গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স। ফলে জলমগ্ন রাস্তায় অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবে এই বাইকটি। এতে রয়েছে দীর্ঘ উইন্ডশিল্ড এবং বডি প্যানেল। ফলে গাড়িতে যাতায়াতের সময় তা আরোহীকে সুরক্ষা প্রদান করবে।
KTM 390 Adventure X: দাম ২.৯১ লক্ষ টাকা
Adventure X কিন্তু দুর্ধর্ষ অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপাবিলিটি প্রদান করে। অথচ এর দাম কিন্তু তেমন একটা বেশি নয়। এই বাইকে রয়েছে 398.63cc সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা ৪৫.৩ বিএইচপি এবং ৩৯ এনএম টর্ক উৎপাদন করে। যা দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স প্রদান করে। এই বাইকের ২২৮ মিমি-র গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রয়েছে। ফলে জলমগ্ন রাস্তা এবং বড় বড় খানা-খন্দের মধ্যে দিয়েও অনায়াসে ছুটতে পারে এই বাইকটি।
Zontes 350T: দাম ২.৯৯ লক্ষ টাকা
ভারতের বর্ষায় দুর্ধর্ষ ভাবে রাজপথে দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য যাঁরা বাইক খুঁজছেন, তাঁদের জন্য উপযুক্ত এই বাইকটি। আরবান এবং হাইওয়ে সেটিংসের জন্য ভরসাযোগ্য বিকল্প Zontes 350T। এতে রয়েছে 348cc সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা ৩৮.২ বিএইচপি এবং ৩২.৮এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। এর রয়েছে ১৭৩ মিমি-র গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স। বৃষ্টি বিধ্বস্ত রাস্তার জন্য যা যথেষ্ট। আর এর ইলেকট্রিক উইন্ডশিল্ড বাইক চালানোর সময় বৃষ্টিকে প্রতিহত করতে সাহায্য করে।
Royal Enfield Himalayan 450: দাম ২.৮৫ লক্ষ টাকা
এবড়ো-খেবড়ো এবং পিছল রাস্তার জন্য যাঁরা বাইক খুঁজছেন, তাঁরা Royal Enfield Himalayan 450 কেনার কথা ভাবতে পারেন। জলমগ্ন বা প্লাবিত রাস্তা, খানা-খন্দে ভরা হাইওয়ে এমনকী বৃষ্টির সময় পাহাড়ি রাস্তাতেও অনায়াসে দাপিয়ে বেড়াতে পারে এই বাইকটি। এতে রয়েছে 452cc লিক্যুইড-কুলড সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা ৩৯.৪ বিএইচপি এবং ৪০ এনএম টর্ক উৎপাদন করে। এর রয়েছে ২৩০ মিমি-র গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স। এর পাশাপাশি প্রতিকূল জায়গায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখে এর লং-ট্র্যাভেল সাসপেনশন।
Honda NX500: দাম ৫.৯০ লক্ষ টাকা
Honda NX500 হল রিফাইন্ড এবং প্রিমিয়াম অ্যাডভেঞ্চার বাইক। যা এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় প্রতিকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির মধ্যেও দিব্যি কোনও ঝামেলা ছাড়াই ছুটে চলতে পারে। এতে রয়েছে 471cc লিক্যুইড-কুলড প্যারালাল-ট্যুইন ইঞ্জিন। যা ৪৬.৯ বিএইচপি এবং ৪৩ এনএম টর্ক উৎপাদন করে। এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৮১ মিমি। জলমগ্ন রাস্তা এবং খানাখন্দে ভরা রাস্তায় চলতে সক্ষম এই বাইকটি।
Triumph Tiger 900 GT: দাম ১৩.৯৫ লক্ষ টাকা
ভারতের বর্ষায় দারুণ ভাবে ছুটে চলতে পারে Triumph Tiger 900 GT। এটি একটি প্রিমিয়াম অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল। এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা, দীর্ঘ দূরত্ব এবং প্রতিকূল আবহাওয়া পরিস্থিতিতেও অনায়াসে দৌড়তে পারে। এমনকী বৃষ্টির মধ্যে দাপিয়ে বেড়ানো যাবে এই বাইক নিয়ে। এতে রয়েছে 888cc লিক্যুইড-কুলড ইনলাইন থ্রি-সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা ১০৬.৫ বিএইচপি এবং ৯০ এনএম টর্ক উৎপাদন করে। আর এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ২২০ মিমি। ফলে প্লাবিত এলাকা কিংবা পাথুরে জলমগ্ন রাস্তা চিরে অনায়াসে মসৃণ ভাবে এগিয়ে চলতে পারে এই বাইকটি।