তারপর থেকেই ডাব্লু টি এ এ পেং এর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যদিও ঐ পোস্টটি কিছুক্ষণের মধ্যেই মুছে দেন পেং ও তিন সপ্তাহের জন্য রহস্যজনকভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান তিনি। তার পরের মাসেই চিনে মহিলা টেনিস এসোসিয়েশনের সবকটি টুর্নামেন্ট বাতিলের ঘোষণা করা হয়।
advertisement
ডাব্লু টি এ ট্যুর বাতিলের ঘোষণার ফলে সম্প্রচার ও স্পনশরশিপে কয়েক কোটি ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়। সম্প্রতি সংস্থার ট্যুর চিফ স্টিভ সাইমন টেনিস পোডকাস্টকে জানান, এই ঘটনার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অনড়। আমরা এমন একটা সমাধান চাই যা পেং এর জন্য স্বচ্ছন্দের হবে, চিনের সরকারের জন্য স্বচ্ছন্দের হবে এবং আমাদের জন্যও স্বচ্ছন্দের হবে।
সাইমন আরো বলেন, আমরা চিন থেকে সরে যাচ্ছি না। আমরা বর্তমানে সেখানে আমাদের কার্যকলাপ বন্ধ রেখেছি। আমরা সমাধানে না আসা পর্যন্ত আমরা আমাদের এই সিদ্ধান্তেই অনড় থাকব। আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যদি এই বিষয়ে নতুন কোনো দিক উন্মোচিত হয়, আমরা আশা করছি ২০২৩ এ আমরা ফিরতে পারবো। আমরা যদি তা করতে পারি তাতে গোটা বিশ্বেরই জয় হবে।
চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক টেনিস থেকে অবসর নেওয়ার পর ফেব্রুয়ারিতে উইন্টার অলিম্পিকসে পেং হাজির হন ও তিনি কারোর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেননি বলে স্পষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি নিজেই তার করা পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছেন। যদিও ডাব্লু টি এ পেং এর অভিযোগের সরকারি তদন্তের দাবিতে অনড় থেকেছে ও তার সাথে আলাদা ভাবে দেখা করে প্রকৃত ঘটনাটি কি ঘটেছিল তা জানতে চেয়েছে।
সাইমনের বক্তব্য, সম্প্রতি পেং এর সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ হয়নি। অলিম্পিকের পর পৃথিবীর কেউ পেংকে দেখেনি। চিনের ওই নেতা নাকি রোজ ঘরে ডেকে জোর করে ধর্ষণ করতেন পেং - কে। তবে বেশিরভাগ লোক মনে করেন বেঁচে থাকার কারণেই মিথ্যা বলতে বাধ্য হচ্ছেন চিনা তারকা।
