ঋদ্ধি যদি বাংলা ছেড়ে দেয়, সেটা সিএবির কাছে চরম লজ্জার হবে, সেটা বুঝতে পেরেই তাঁকে রাখার চেষ্টা শুরু হয়। ঋদ্ধির স্টান্স বদলায়নি। সিএবিতেও এটা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। ঋদ্ধির মতো এত ভাল ছেলে আর হয় না। তাই যেভাবে দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সেটা স্রেফ মেনে নেওয়া যায় না।
advertisement
মুশকিল হল, বঙ্গ ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ুন না কেন, সিএবি কর্তারা ঋদ্ধিকে আটকানোর ব্যাপারে কতটা আন্তরিক তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এটা ঠিক যে সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া বাংলা না ছাড়ার জন্য ঋদ্ধিকে অনুরোধ করেছিলেন। একইভাবে ঋদ্ধিও পালটা অনুরোধ করেছিলেন।
ঋদ্ধি বলেছিলেন, তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেটা তাঁকে প্রচণ্ড আঘাত করে। তাই এটা নিয়ে যেন সিএবি কিছু ভাবনা-চিন্তা করে। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন যে যুগ্ম সচিব যা বলেছিলেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। সিএবির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, সংস্থার প্রেসিডেন্টই সংস্থার সর্বোচ্চ কর্তা।
জুনের মাঝামাঝিতেই সিএবিতে গিয়ে এনওসি নিয়ে নেবেন ঋদ্ধিমান সাহা। রবিবার তিনি ঘুরতে যাচ্ছেন। ফিরে এসেই সিএবিতে যাবেন এনওসি নিতে। কিন্তু বাংলা ছেড়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে কোন রাজ্যের হয়ে খেলবেন ঋদ্ধিমান সেটা পরিষ্কার নয়। বঙ্গ ক্রিকেটপ্রেমীদের এটা জানার জন্য ব্যাকুলতা আছে।