ঋদ্ধিমান স্পষ্ট জানালেন, "বাংলার থেকে আগে এনওসি নেব। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব কোন রাজ্যের হয়ে খেলব। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেব। তবে সেই সবগুলি এখনই প্রকাশ্যে বলতে চাই না। বেশ কয়েকটা রাজ্যের অফার রয়েছে। দেখা যাক কি হয়। সব বিষয়ে আলোচনা করার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’’
advertisement
ত্রিপুরার নাম ভেসে আসলেও ঋদ্ধিমানের কাছে আরও দুটি রাজ্যের ভাল প্রস্তাব রয়েছে। একটি গুজরাত, অন্যটি বরোদা। দুটি দলেরই ভালো ব্যাটার-কিপার প্রয়োজন বলে খবর। তবে ঋদ্ধি এই নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে নারাজ। তার কারণ অন্য রাজ্যে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও মাসখানেক হাতে সময় রয়েছে। বোর্ডের নির্দিষ্ট উইন্ডোতে কোন রাজ্যে সই করতে পারবেন ঋদ্ধি। তাই বাংলার উইকেট কিপার চান প্রথমে সিএবির তরফ থেকে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট নিতে। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়ার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন - Bengal Cricket News: বিয়ের অল্প দিন পরেই কি দুঃসংবাদ! ছাঁটাই হচ্ছেন অরুণ লাল, বিকল্প কোচ কে
শিলিগুড়িতে নিজের বাড়িতে কয়েকদিন ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন ঋদ্ধিমান। তারপর কলকাতায় ফিরে এসে সিএবিতে যাবেন তিনি। সেই সময় সিএবি কর্তারা শেষ একবার বোঝানোর চেষ্টা করবেন বলেই খবর। তবে অপমানিত ঋদ্ধিমান কোনভাবেই বাংলায় থাকতে রাজি নন। তবে বাংলার সঙ্গে একেবারে কি সম্পর্ক ছিন্ন করছেন ঋদ্ধি?
ভবিষ্যতে বাংলার কোচ হিসেবে কাজ করবেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে ঋদ্ধিমান বলেন, "আমি বলেছি বাংলার হয়ে আর খেলতে নামব না। তবে ভবিষ্যতে যদি কোচিংয়ে আসি তাহলে বাংলার কোচ না হওয়ার তো কোনো প্রশ্ন নেই। সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই হব।" তবে আপাতত কয়েক বছর ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে চাই। শ্রীলংকার জয়সূর্য কিংবা ভারতের ওয়াসিম জাফররা ৪০ বছর পার করেও ক্রিকেট খেলতে পারেন তাহলে তিনিও পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসী ঋদ্ধিমান। ঋদ্ধির ফিটনেস নিয়ে ঈর্ষা হতেই পারে যে কোনো উড়তি ক্রিকেটারের।
৩৮ বছরেও যেভাবে নিজেকে ফিট রেখেছেন ঋদ্ধি অনবদ্য। তাই আপাতত অন্য রাজ্যের হয়ে ক্রিকেট এবং আইপিএল নিয়ে ভাবছেন প্রাক্তন ভারতীয় টেস্ট উইকেটরক্ষক। তার সঙ্গে চলছে তার কোচিং ক্যাম্প। চলতি বছর নভেম্বরে রাজারহাটে আরও একটি নতুন কোচিং ক্যাম্প চালু করতে চলেছেন ঋদ্ধিমান। নিজের ক্রিকেটের পাশাপাশি ভবিষ্যতের প্রতিভা তুলে আনাই আপাতত লক্ষ্য ঋদ্ধিমানের।
ERON ROY BURMAN