ছেলে বেলা: ২০০৪ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চুঁচুড়ায় জন্ম তিতাস সাধুর। খেলাধুলোরা পাশাপাশি লেখাপড়তেও ছোট বেলার থেকেই ভালো ছিলেন তিতাস। বাবা রনজিৎ সাধু নিজেও ছিলেন অ্যাথলিট। কাকা-কাকিমাও খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত। ফলে ছোট থেকেই খেলার পরিবেশে বড় হয়েছেন তিতাস। প্রথমে আমি দৌড়, তারপর সাঁতার দিয়ে শুরু করলেও ক্রিকেটের প্রতি অন্য রকম ভালবাসা অনুভব করেন তিতাস। মেয়ের ইচ্ছের দাম দেয় পরিবারও।
advertisement
ক্রিকেট কেরিয়ার: স্থানীয় অ্যাকাডেমি থেকেই তিতাসের হাতেখড়ি। তিতাসের প্রতিভা প্রথম নজরে পড়ে বাংলার রঞ্জি দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের। তারপর থেকেই গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন তিনি। মহিলা ক্রিকেটার হলেও তিতাসকে নিয়মিত ছেলেদের সঙ্গে খেলাতেন কোচ। ২০১৬-১৭ মরশুমে বাংলার মহিলা দলের বোলিং কোচ ছিলেন শিবশঙ্কর দাস। সেই সময় কোচ প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায় প্রথম শিবশঙ্করের কাছে নিয়ে যান তিতাসকে।
আরও পড়ুনঃ 'ভাই-বোনের' ১১ বছরের প্রেম, বাড়িতেই চলত সঙ্গম, গর্ভবতী হওয়ার পর কী করেছিলেন এই রেসার
তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলা মহিলা দলের হয়ে খেলার পরই অনুর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলে সুযোগ পান তিতাস। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া স্বপ্ন ছিল বঙ্গতনয়ার। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে খুশি এই ডানহাতি পেসার। অনুর্ধ্ব ১৯ টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিতাস। ইতিমধ্যেই তার সঙ্গে তুলনা শুরু হয়েছে কিংবদন্তী ঝুলন গোস্বামীর। প্রথম মহিলা আইপিলেও খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তিতাস।