আরবী উচ্চারণ নাকি হবে ‘আল রাখলা’। তবে ভারতীয় উচ্চারণে আল রিহলা। আরবী ভাষায় আল-রিহলা শব্দটির অর্থ ‘দ্য জার্নি’। এই প্রথমবার কোনও বল ওয়াটার বেসড আঠা ও কালির মিশ্রণ দিয়ে তৈরি হয়েছে। ২০ প্যানেলের বলটির গায়ে ফুটে উঠেছে কাতারের সংস্কৃতি, স্থাপত্য, ঐতিহ্যবাহী নৌকা ও পতাকার ছবি।
আরও পড়ুন- কলকাতায় এক টুকরো কাতার, মেসি, নেইমার, রোনাল্ডোদের সঙ্গে পাটুলিতে গেলেই দেখা হয়ে যাবে !
advertisement
বিশ্বকাপের ইতিহাসের এই প্রথম হাইটেক বল আল রিহলা। ৪২০ গ্রামের বলটির ভেতর লাগানো আছে সেন্সর। আসলে বল এবার বুদ্ধিমান। বল ধরিয়ে দেবে অফসাইড। জানান দেব সঠিক ফ্রি কিক পয়েন্ট। জার্মানির বিশ্বসেরা ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা এই নিয়ে টানা ১৪ বার বিশ্বকাপের বল তৈরির দায়িত্বে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আল-রিহলা হতে চলেছে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে গতিশীল বল। হাওয়ায় দ্রুত নড়াচড়া করবে। প্রথম কয়েকটি ম্যাচে তার প্রমাণও মিলছে যথেষ্ট। এখনো পর্যন্ত চার ম্যাচে ১৪ গোল। তিনটির বেশি গোল। এই বল এখন থেকেই খেল দেখাতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বকাপের এই বল যতটা স্ট্রাইকারদের জন্য ভাল ততটাই চিন্তার কারণ গোলকিপারদের।
সেট পিস মুভমেন্টে এই বল সবথেকে ভাল খেল দেখাবে বলেই মনে করছেন তারা। তবে এত দ্রুত নড়াচড়া করছে যে গোলকিপারদের গ্রিপ করতে সমস্যা হতে পারে। যদিও বল নিয়ে এখনও কোনও দল কোনও অভিযোগ করেনি বলেই খবর। তবে ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে আল রিহলা নিয়ে উৎসাহ ক্রমশ বাড়ছে। অনেকেই এই বলটি বিশ্বকাপের নিজের কাছে রাখতে চাইছেন স্মারক হিসেবে। কলকাতাতে বল প্রস্তুতকারী সংস্থার শোরুমগুলোতে চাহিদা বাড়ছে। ভারতীয় টাকায় এই বলের দাম প্রায় ১৬ হাজার টাকার কাছাকাছি। তবে হাজার পাঁচেক টাকা দামের রেপ্লিকা বল পাওয়া যাচ্ছে।