এমনকি শুরুতে গোলেও এগিয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু ইকুয়েডর পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে দেয়নি সেলেসাওদের। ম্যাচে ফাউল হয়েছে মোট ৩২টি। দুটি লাল কার্ড। ভিআরের ছড়াছড়ি তো ছিলই। এমন এক লড়াইয়ে কাসেমিরোর গোলে ব্রাজিল এগিয়ে যাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে সমতা টানেন ইকুয়েডরের ফেলিক্স তরেস। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই মোইজেজ কাইসেদোকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের এমেরসন।
advertisement
২০তম মিনিটে প্রতিপক্ষের আরেক খেলোয়াড় এস্ত্রাদাকে পেছন থেকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখে মাঠ ছাড়েন এই ডিফেন্ডার। তার পাঁচ মিনিট আগেই অবশ্য লাল কার্ড দেখে ফেলেছিলেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক আলেকজান্ডার ডোমিঙ্গেজ। ফলে ২০ মিনিটের পর থেকে একজন করে কম নিয়ে খেলতে হয় দুই দলকে। ব্রাজিল এগিয়ে যায় ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে।
ফেলিপে কৌতিনহোর বলে হেড করেন ম্যাথিউস কুনহা। সেটা কোনোরকমে বাঁচান ইকুয়েডর গোলরক্ষক। তবে বল পেয়ে ডান পায়ের আলতো টোকায় ঠিকই গোল আদায় করে নেন কাসিমিরো। ১৫ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক আলেকজান্ডার ডোমিঙ্গেজ। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ডি-বক্সের মুখে ছুটে আসা প্রতিপক্ষের গলায় বুট দিয়ে আঘাত করে বসেন তিনি।
প্রথমার্ধেই ১০টি করে ফাউল করে দুই দল। সময় নষ্টের কারণে বাড়তি ১০ মিনিট দিতে হয় রেফারিকে। তবে ব্রাজিল ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায়। ৭৫তম মিনিটে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। গনজালা প্লাতার কর্নার থেকে দারুণ হেডে গোল করেন ফেলিক্স তরেস।
বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার প্রেসিয়াদোর মুখে আঘাত করে বসেছিলেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল। ব্রাজিল এই ড্রয়ের পর ১৪ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।