লড়াই এখন শুধু চতুর্থ জায়গা নিয়ে। একটি জায়গা নিয়ে লড়াইয়ে রয়েছে তিন দল। নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চতুর্থ দল হিসেবে কারা যাবে সেমিফাইনালে তা নিয়েই এখন জোর জল্পনা। চতুর্থ স্থানে শেষ করার সবথেকে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের। ১১ নভেম্বর নিউজিল্যান্ড তাদের শেষ ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। অপরদিকে, ১১ নভেম্বর পাকিস্তানের শেষ ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
advertisement
বর্তমানে বিশ্বকাপের লিগ টেবিলে কিউইদের রানরেট ০.৩৯৮ আর বাবরদের নেট রানরেট ০.০৩৬। আফগানিস্তানেরও সুযোগ রয়েছে। তবে তাদের শেষ ম্যাচ কঠিন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আফগানদের নেট রানরেট -০.৩৩৮। ফলে শেষ ম্যাচ রশিদ খানদের শুধু জিতলেই হবে না। বড় ব্যবধানে জিতেও তাকিয়ে থাকতে হবে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের ম্যাচের দিকে।
তবে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার রাস্তা খুবই কঠিন। কারণ নেট রানরেট। রানরেটের এতটাই তফাৎ যে নিউজিল্যান্ড যদি তাদের শেষ ম্যাচ ১ রানে জেতে তাহলে পাকিস্তানকে জিততে হবে ১৩০ রানে। নিউজিল্যান্ডের জয়ের ব্যবধান যত বাড়বে, পাকিস্তানের সমস্যা আরও বাড়বে। সুবিধা একটাই নিউজিল্যান্ডের খেলা যেহেতু আগে তাই তা দেখে রণনীতি ঠিক করতে পারবে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ড যদি হেরে যায় বা বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যায় তাহলে পাকিস্তান জিতলেই সেমির টিকিট পাকা হয়ে যাবে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যদি নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের পয়েন্ট ও নেট রানরেট দুই সমান হয়,তাহলে সেমি ফাইনালে যাবে কোন দল। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে পয়েন্টের ভিত্তিতে ১০ দলের মধ্যে শীর্ষ ৪ দলের সেমিফাইনালে যাবে। যদি কোনও দুই দলের পয়েন্টও সমান হয়, তাহলে নেট রান রেটের আশ্রয় নেওয়া হবে। অর্থাৎ যে দলের নেট রান রেট ভালো, পয়েন্ট সমান হওয়ার পরও তারাই সেমিতে জায়গা করে নেবে।
উদাহরণস্বরূপ, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের এই মুহূর্তে সমান পয়েন্ট থাকলেও নেট রান রেটের কারণে এগিয়ে রয়েছে কিউই দল। পয়েন্ট আর নেট রান রেটও যদি একই থাকে, তাহলে হেড-টু-হেড রেকর্ডের দিকে নজর দেওয়া হবে। অর্থাৎ দুই দলের মুখোমুখি সাক্ষাতে কে জিতেছিল তা দেখা হবে। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট এবং নেট রান রেটও সমান হলে সেমিফাইনালে উঠবে বাবররা। কারণ গ্রুপ পর্বের সাক্ষাতে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। সব মিলিয়ে যা হিসেব নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মধ্যে এক দলের সঙ্গে সেমিতে খেলবে ভারত।
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপের শুরুটা এবার তেমন জমজমাটভাবে হয়নি। প্রথমদিকের ম্যাচগুলিতে মাঠ ফাঁকা থাকা নিয়ে অনেক প্রশ্নও উঠেছে। তবে প্রতিযোগিতা যত এগিয়েছে নিজের জৌলুস ফিরে পেয়েছে বিশ্বকাপ। আর এবার গ্রুপ পর্বের শেষ ল্যাপে এসে বিশ্বকাপ অন্য মাত্রা পেয়েছে তা বলাই যায়।