রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাম্প্রতিক লড়াইয়ের প্রেক্ষিতে উইম্বলডনেই প্রথম দুই দেশের টেনিস খেলোয়াড়দের অংশ নিতে নিষেধ করা হল। সার্বিয়া ওপেন চলাকালীন জকোভিচ সাংবাদিকদের বলেন, উইম্বলডনের সিদ্ধান্ত সমর্থন করতে পারছি না। আমার মনে হয় এটা পাগলামো। ক্রীড়াক্ষেত্রে যখন রাজনীতি ঢুকে পড়ে, তার ফলাফল ভাল হয়না। যদিও আমি সবসময় যুদ্ধের নিন্দা করি।
advertisement
আমি নিজে যুদ্ধের আবহে বড় হয়েছি, জানি কতটা ভয় মানুষের মনে এর ফলে ঢুকে যায়, আমি কোনদিন যুদ্ধ সমর্থন করবো না। এই প্রসঙ্গে তিনি ১৯৯৯ সালে যুদ্ধবিদীর্ন সার্বিয়া ও সাম্প্রতিক সময়ে বালকন্সে দীর্ঘসময় ধরে যুদ্ধের উল্লেখও করেন। অল ইংল্যান্ড ক্লাবের এই নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় রাশিয়ার দানিল মেদভেদেভ,মহিলাদের টেনিস ক্রমতালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা বেলারুশের আরয়ানা সাবালেঙ্কা এবারের উইম্বলডনে অংশ নিতে পারবেন না।
বেরালুরুশের টেনিস কতৃপক্ষ উইম্বলডনের তাদের দেশ ও রাশিয়ার টেনিস খেলোয়াড়দের উপর নিষেধাজ্ঞার কড়া নিন্দা করেছে। এক বিবৃতি জারি করে তারা জানিয়েছে, এরকম ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ দ্বন্দ্বের কোনোরকম সমাধান করবে না, উল্টে ঘৃণার উদ্রেক করবে, এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের অসহিষ্ণুতা বাড়াবে। আসলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ক্রীড়াক্ষেত্রে পুতিনের দেশকে এক ঘরে করে দেওয়ার প্রচেষ্টা নতুন নয়।
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা আগেই জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি। ইউরোপের কোনও টুর্ণামেন্টে খেলতে পারবে না তারা। কাতার বিশ্বকাপে নেই রাশিয়া। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রাশিয়াকে ফুটবল বিশ্বকাপে নেওয়া হতে পারে অন্য নামে এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে সার্বিয়ার সম্পর্ক ভাল থাকায় নোভাক জোকোভিচ পুতিনের দেশের সমর্থনে কথা বলবেন তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই।