বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে অরূপ বিশ্বাস বলেন, ”ইডেনের থেকে ভাল স্টেডিয়াম আর দেশে নেই। বৃষ্টি হলেও আধঘণ্টা-৪৫ মিনিটের মধ্যে খেলা শুরু করা যায় এখানে। যা ভারতে আর কোথাও হয় না। রাজনৈতিক কারণে আইপিএল ফাইনাল কলকাতা থেকে সরিয়ে আহমেদাবাদে করা হল। আবহাওয়া একটা অজুহাত। আহমেদাবাদ ছাড়া আর কোথাও ফাইনাল হবে না, এটা যেন নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। গত চার বছরে তিনবার ফাইনাল হয়েছে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে।”
advertisement
আরও পড়ুন- ইডেন থেকে চলে গেল আইপিএল ফাইনাল! কার জন্য জানেন? এক ‘প্রভাবশালী’ প্রাক্তন ক্রিকেটার!
পাশাপাশি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর আরও দাবি, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আবহাওয়ার যুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ আবহাওয়া দপ্তর ৭ দিন আগের ফোরকাস্ট করতে পারে। জুন মাসের ১ থেকে ৪ তারিখ কেমন আবহাওয়া থাকবে, তার পূর্বাভাস ওরা করতে পারে না।
অরূপ বিশ্বাস আরও বলেন, ”সুকান্ত মজুমদার বলছেন নিরাপত্তার কারণে ম্যাচ সরানো হয়েছে। বিসিসিআই, আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আবার বলছে আবহাওয়ার কারণে ম্যাচ ইডেন থেকে সরে যাচ্ছে। এগুলো স্রেফ অজুহাত। বাংলাকে ভাতে মারো, এটাই উদ্দেশ্য।”
অরূপ বিশ্বাস বলেন, বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে প্রতিবাদ করছি। সিএবির সেক্রেটারি, প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসা করুন। সিএবি কেন ফাইনাল চলে যাওয়া নিয়ে মুখ খুলল না! সিএবির অবশ্যই প্রতিবাদ করা উচিত ছিল।
আরও পড়ুন- দ্বিতীয় প্রেমটাও ভেঙে গেল! সচিন-কন্যা সারার আবার ব্রেক-আপ, জানাজানিও হয়ে গেল!
অন্যদিকে, পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, কোনওভাবেই কোনওদিন ইডেনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। কোথাও কেউ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ প্রশ্ন তোলেনি। আইনশৃঙ্খলা এখানে সাতটা ম্যাচে ভালভাবে হয়েছে। এর আগের ইতিহাস বলছে, কলকাতায় ভালভাবে ম্যাচ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সেটা একেবারেই ঠিক নয়, অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে অরূপ বিশ্বাস বলেন, খেলা থেকে শুরু করে সব জায়গায় বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। আবাস যোজনার টাকা, গ্রামীন সড়ক যোজনার টাকা বন্ধ। ১০০ দিনের টাকা বন্ধ। এক লক্ষ সাতাশি হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। কেন্দ্র সরকার দিচ্ছে না। আমরা বঞ্চনার কথা বলছি। আসলে একটাই উদ্দেশ্য, বাংলাকে বঞ্চনা করো।
উল্লেখ্য, এই সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করার পরেই দেখা যায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার আইপিএল নিয়ে যে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন নিজের বক্তব্য তা মুছে দিয়েছেন।