অনুপ্রেরণা তার মামা পিন্টু মাহাতো, তবে লক্ষ্য সুনীল ছেত্রীর মতো ফুটবলার হওয়া। জঙ্গলমহলের এই বিস্ময় বালকের প্রতিভা চমকে দেবে আপনাকে। অনেকক্ষণ ধরেই দু-পায়ে বল নাচাতে পারে সে, সকাল হোক কিংবা সন্ধ্যা কখনও একা একা, আবার কখনও বড়দের সঙ্গে অনুশীলন করে সে।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের এমনই এক প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড় সৃজিত মাহাতো। গ্রামেরই এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। সৃজিতের মামা পিন্টু মাহাতো একজন নামকরা ফুটবল প্লেয়ার, মামাকে দেখে ছোটবেলা থেকে ফুটবলের প্রতি নেশা। মামা বাড়িতে থেকে ফুটবলে অনুশীলন করে সে। ছোট থেকেই গ্রামের মাঠে প্র্যাকটিস করত। সম্প্রতি জিন্দালের ফুটবল কোচিং ক্যাম্পে অনুশীলন করে। তবে তার নিজস্বতা এবং তার স্কিল চমকে দেয় আর পাঁচজনকে। মাত্র ১০ বছর বয়সে তার ফুটবলের টেকনিক এবং গোটা মাঠ দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য মিলেছে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ ট্রফি।
আরও পড়ুন: ‘ইয়ে দোস্তি’ ছাড়তেই হল! প্রয়াত ধর্মেন্দ্র, ‘বীরু’কে শেষদেখা দেখতে গিয়ে চোখে জল ‘জয়’ অমিতাভের
পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের চাঁদড়ার ঢড়রাশোল এলাকায় বাড়ি ফুটবলার পিন্টু মাহাতোর। সেখানেই থাকে সৃজিত। বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলায় হলেও ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলার কারণে মামা বাড়িতে মানুষ। বাবা পেশায় একজন বেসরকারি কোম্পানির কর্মী। তবে সম্পূর্ণ নিজের জেদে এবং ইচ্ছেতেই ফুটবল খেলা চালিয়ে যাচ্ছে সে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে, মিলেছে সফলতা।
ছোটবেলা থেকেই মামাকে দেখে তার খেলার শুরু। তার জীবনের লক্ষ্য সুনীল ছেত্রী মত ফুটবলার হয়ে দেশ ও দশের কাছে নাম করা। ছোটবেলা থেকেই বুট এবং ফুটবলে ভরসা। একদিকে টানা প্র্যাকটিস অন্যদিকে, ফুটবল নিয়ে গোটা মাঠে ৯০ মিনিট দৌড়তে পারে সে। ছোটদের তুলনায় বড়দের সঙ্গে ফুটবল খেলতে বেশি পছন্দ করে ছোট্ট সৃজিত। জঙ্গলমহলের এই খুদের প্রতিভা, জাগলিংয়ে স্কিল এবং তার দক্ষতা অবাক করবে সকলকে। জঙ্গলমহল থেকে ফুটবলে আগামী ভবিষ্যৎ সৃজিত মাহাতো।





