শেষবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ব্যর্থ ছিলেন। এবার একই অবস্থা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। আত্মবিশ্বাস একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। শট নির্বাচন করতে পারছেন না। প্রায় একই সমস্যায় ভুগছেন চেতেশ্বর পূজারা। তিনি অবশ্য কিছুটা উইকেটে সেট হয়ে আউট হচ্ছেন। প্রত্যেকবার সেই অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা দিয়ে। বিপক্ষ বোলাররা বুঝে গিয়েছেন তাঁকে গুড লেন্থ স্পটে বল করে হালকা আউট সুইং করতে পারলেই হবে।
advertisement
পায়ের মুভমেন্ট হচ্ছে না। ভারতের বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) অবশ্য বিশ্বাস করেন রাহানে এবং পুজারা দুজনেই টেস্ট ক্রিকেটে প্রমাণিত ব্যাটসম্যান। তারা ফর্মে ফিরবেন। প্রয়োজনে দ্রাবিড় নিজের সাহায্য করবেন এই দুজনকে। কিন্তু মাঠে নেমে তাদের হয়ে রান করে দিতে পারবেন না। ভিভিএস লক্ষ্মণ (VVS Laxman) মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর রাহানে এবং পূজারার জন্য অগ্নিপরীক্ষা হতে চলেছে।
ওই তিনটি টেস্টে যাবতীয় রান করে দেখাতে হবে। না হলে বাইরের রাস্তা দেখতে হতে পারে। শুধুমাত্র অতীত পরিসংখ্যান দিয়ে দলে জায়গা ধরে রাখার দিন শেষ। এখন ভারতীয় ক্রিকেটে সাপ্লাই লাইন এতটাই শক্তিশালী, একজনের জায়গা নেওয়ার জন্য অন্যজন তৈরি। লক্ষণ মনে করেন রাহানে এবং পূজারা যথেষ্ট অনুশীলন করেই দক্ষিণ আফ্রিকায় নামবেন। কারণ তারা দেওয়াল লিখন পড়তে পারছেন।
শ্রেয়স আইয়ার, মায়ানক আগারওয়ালদের মত তরুণ ক্রিকেটাররা তৈরি, সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এটাই সেরা সময় টেস্ট ক্রিকেটে রাহানে এবং পূজারার বদলি তুলে আনা। তাই রাবাডা, নখিয়াদের মত ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে রান করে দেখাতেই হবে এই দুই সিনিয়রকে। লক্ষণ মনে করেন পূজারা, রাহানে যদি দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্স সামলে নিতে পারেন, তাহলে যথেষ্ট বড় রান করার ক্ষমতা আছে তাদের।
পিচ ফাস্ট বোলারদের সাহায্য করলেও, বল ব্যাটে আসে। তাই স্বাভাবিক আক্রমনাত্মক শট খেলা উচিত। দু'জনেরই উচিত একটু আক্রমনাত্মক খেলা। তাতেই খারাপ সময় কেটে যেতে পারে। অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট ম্যাচ জিতলেও, সিরিজ জেতা হয়নি ভারতের। তাই এবার ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার সিরিজ লক্ষ্য নিয়েই যাচ্ছে ভারত।