প্রথম ৪৫ মিনিট আশিক ছিলেন মোহনবাগানের সেরা ফুটবলার। তাকে আটকাতে বেঙ্গালুরুর দম বেরিয়ে যাচ্ছিল। ফাউল করে আটকাতে হচ্ছিল। পুরো ম্যাচ খেলতে পারেননি সম্পূর্ণ ফিট না থাকায়। বিশাল এবং আশিক দুজনেই গোয়ার মাটিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জানিয়েছেন মোহনবাগানে না এলে তাদের ক্যারিয়ার অসম্পূর্ণ থেকে যেত। কলকাতা ফুটবলের চাপ অন্যরকম।
advertisement
ব্যর্থ হলে যেমন গালাগালি সফল হলে সে রকম ভালোবাসা। কিন্তু এই চাপ এবং ভালোবাসার জন্যই নিজেদের সেরা খেলাটা বেরিয়ে আসে। আশিক বললেন ব্যথা ছিল, কিন্তু ফাইনালে মাঠে নামব প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। একজন ফুটবলার বেঁচে থাকে ফাইনাল খেলবে বলে। সেখানে আমার পায়ের ব্যথা তুচ্ছ ছিল।
হয়তো পুরো ম্যাচ খেলতে পারিনি। কিন্তু যতক্ষণ ছিলাম নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছি। দিনের শেষে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি এটাই সব কিছু। জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। আর গোলরক্ষক বিশাল জানালেন সমর্থকদের আনা যুবভারতীতে তার নামে ফ্লাইং কাইট পোস্টার দেখেই বুঝে গিয়েছিলেন তাকে হৃদয় জায়গা দিয়েছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। তার যোগ্য সম্মান দিতে পেরে তিনি খুশি।
বিশাল জানতেন নিজেকে সম্পূর্ণ মেলে ধরতে না পারলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব নয়। এর আগে চেন্নাই, লাজং, পুনের মতো দলে খেলেছেন। কিন্তু এর কোনটাই মোহনবাগানের সমান নয়। নিজেকে ফুটবলার হিসেবে এবং মানুষ হিসেবে উন্নত করতে পেরেছেন বাগানে আসার পর। তবে বিশাল মনে করেন তার সাফল্যের পেছনে কোচ হুয়ান এবং গোলরক্ষক কোচ পিনদাদর বিরাট অবদান।
বছর শুরু হওয়ার আগে স্পেনে তাদের বিশেষ ট্রেনিংয়ে পাঠানো হয়েছিল। তারপর থেকেই তার উন্নতির শুরু। বিশাল জানিয়েছেন কলকাতায় ফিরে সমর্থকদের আবেগের মধ্যে মিশে যাওয়া এটাই এখন তার লক্ষ্য। দিনের শেষে ভারত সেরা ক্লাবের অংশ হতে পেরে গর্বিত বাগানের নতুন তারকা গোলরক্ষক।