অ্যাম্বুলেন্স এর দরজা খুলে গিয়েছে। গ্যালারিতে দর্শকদের মধ্যেও আশঙ্কা খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে নাকি? জুনিয়র অথবা ডেনমার্কের এরিকসেন স্মৃতি ফিরে আসছিল। অনেকে সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। শেষ অবধি যদিও নিজের পায়ে হেঁটেই অ্যামবুলেন্সে করে হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য গেলেন তিনি। তবে সেমিফাইনালের আগে নিশ্চিত ভাবেই চিন্তায় রাখলেন এটিকে এমবি-র ম্যানেজমেন্টকে। যদিও তার বড় বিপদ নেই।
advertisement
বিশালের চোটের বিষয়টি একটা সময় সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। সেটপিস থেকে ভেসে আসা বল ধরতে গিয়েই লুটিয়ে পড়েন বিশাল ঠিক ম্যাচের ৫৯ মিনিটে। তখনই রেফারির নির্দেশে মাঠে ছুটে আসে অ্যাম্বুলেন্স। তবে অ্যাম্বুলেন্স নয় নিজের পায়েই মাঠ ছাড়়েন তিনি। কিছুতেই মাঠ ছাড়তে চাইছিলেন না বিশাল তবে তাঁর মাথা তখনও ভোঁ ভোঁ করছিল। তাই ম্যানেজমেন্ট ঝুঁকি নিতে চায়নি।
তাঁর জায়গায় গোলকিপিংয়ের দায়িত্ব নেন আর্শ শেখ। খেলা শেষে হুয়ান জানিয়েছেন বিশাল আগের থেকে ভাল আছেন। দুটো দিন বিশ্রাম করবেন। তারপর অনুশীলনে যোগ দেবেন। তবে আনোয়ার গোলরক্ষক হিসেবে তৈরি থাকলেও অভিজ্ঞতা এবং ফর্মের জন্য বিশালকে হায়দারাবাদের বিরুদ্ধে খেলানোর ব্যাপারে এগিয়ে সবুজ মেরুন।
বিশাল নিজেও মানসিকভাবে প্রস্তুত সেমিফাইনালের চ্যালেঞ্জ নিতে। তবে কয়েক সেকেন্ড জীবন মৃত্যুর মাঝে থেকে যেভাবে তিনি লড়াই করেছেন সেটা সমগ্র দলকে মোটিভেট করবে ভাল খেলার জন্য।