মহম্মদ সিরাজের পুনর্জন্ম হল অস্ট্রেলিয়ার মাঠে এমন কথা বললে বাড়াবাড়ি হবে না। অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন দেশে পিতৃবিয়োগের খবর পান। কিন্তু ফিরে না এসে দলের স্বার্থে অস্ট্রেলিয়ায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিরাজ। ক্রিকেটপ্রেমীদের নিশ্চয়ই মনে আছে জাতীয় সংগীত চলাকালীন সিরাজের চোখে জল। পরে জানিয়েছিলেন বাবার কথা মনে পড়ছিল বলেই আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। যখনই সুযোগ পেয়েছেন বল হাতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্টে চোট পেয়ে শামি ছিটকে যাওয়ার পর তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিজেকে প্রমাণ করার। মেলবোর্ন, সিডনি দু'জায়গাতেই নজর কেড়েছিলেন
advertisement
হায়দরাবাদের পেসার।
তবে সাফল্য পূর্ণতা পেল ব্রিসবেনে। গাব্বাতে প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নিলেন সিরাজ। ফর্মে থাকা স্মিথ, লাবুশানে যেমন তাঁর শিকার হয়েছেন, তেমনই অস্ট্রেলিয়ার লোয়ার অর্ডার সাফ করে দিয়েছেন তিনি। মাঠ ছাড়ার সময় সিরাজকে সামনে রেখে হাততালি দিয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় অধিনায়ক রাহানে সহ গোটা দলকে।স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন,"ছেলে থেকে পুরুষ হয়ে উঠেছে সিরাজ। ভারতীয় বোলিং বিভাগের লিডার। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিল। কাজটা কঠিন ছিল। সবকিছু উজাড় করে দিয়েছে। এই অস্ট্রেলিয়া সফরটা ওঁর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নতুন ক্রিকেটাররা প্রত্যেকে নিজেদের প্রমাণ করেছে। ট্রফি ধরে রাখতে পারলে মূল্য থাকবে"।
অজয় জাদেজা থেকে সুনীল গাভাসকর, অজিত আগারকর থেকে সঞ্জয় মঞ্জরেকর, প্রত্যেকেই মেনে নিয়েছেন ফাস্ট বোলারের গতি হয়তো কিছুটা বাড়াতে হবে সিরাজকে, কিন্তু মেজাজটা ফাস্ট বোলারের মতই। সাহসী,পরিশ্রমী এবং লড়াকু। এদিনও দেখা যায় পাঁচ উইকেট পেয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বলছিলেন সিরাজ। হয়তো স্বর্গীয় পিতার কাছে আশীর্বাদ চাইছিলেন।