আরও পড়ুন - New Captain: বিরাট কোহলির পর এবার কে, কত তাড়াতাড়ি জানাবে বোর্ড
কেন করেছে সেই বিতর্কে আমি ঢুকতে চাই না। কিন্তু এটুকু বলব অধিনায়ক না থেকেও ভারতীয় ক্রিকেটের সেবা করা যায়। আমি মনে করি বিরাট মোটেই শেষ কয়েক মাস অধিনায়কত্ব উপভোগ করছিল না আগের মত। তবে আমার মনে হয় এই সিদ্ধান্তের ফলে ওর স্বাভাবিক ব্যাটিং ফিরে আসতে পারে। অনেকটা চাপ কমে গেছে। এবার খোলা মনে খেলতে পারবে। যে বিরাট কোহলিকে আমরা চিনি ব্যাটসম্যান হিসেবে, সেই বিরাট কোহলিকে আবার দেখা যেতে পারে।
advertisement
অতীতে সুনীল গাভাসকার সিনিয়র হয়েও আমার নেতৃত্বে খেলেছে। আমি সিনিয়র হয়ে আজাহার এবং শ্রীকান্তর নেতৃত্বে খেলেছি। সৌরভ সিনিয়র হয়ে ধোনির অধিনায়কত্বে খেলেছে। তাই আমার মনে হয় বিরাট নিজের ইগো ছেড়ে দিয়ে জুনিয়র ক্রিকেটারের নেতৃত্বে খেলতে তৈরি থাকুক। অসুবিধা কিছু নেই। দিনের শেষে বিরাট অধিনায়ক কিনা, তার থেকে বড় প্রশ্ন ভারতীয় ক্রিকেট কতটা সফল হল। বিরাট নিজেও এটা জানে আমি নিশ্চিত।
ওর কাছে ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দেওয়া বড় ব্যাপার নয়। বরাবর জিততে চায়। ভারতের যায় ওর কাছে শেষ কথা। যখন অধিনায়ক ছিল না তখনও নিজের সেরাটা দিত। আমি নিশ্চিত আগামীদিনেও তাই করবে। ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির অনেক কিছু দেওয়া বাকি। সামনে অনেক ক্রিকেট খেলতে হবে ভারতকে। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার পরের বছর একদিনের বিশ্বকাপ।
ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি এই দলের কাছে প্রচুর মূল্যবান। অধিনায়ক হিসেবে যেই থাকুক, বিরাট কোহলির ওপর ভারতীয় ক্রিকেটকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব একই রকম থাকবে। প্রয়োজনে নতুন অধিনায়ক ওর পরামর্শ নিক। ইগো থাকা ভাল। কিন্তু যে ইগো নিজের এবং দলের ক্ষতি করে সেটা ভাল নয়। এটা বোঝার মত বুদ্ধি এবং পরিণতবোধ রয়েছে বিরাট কোহলির।