একটা সময় বলা হত, সচিন তেন্ডুলকরকে ছাপিয়ে যেতে পারেন বিনোদ কাম্বলি। দুজনের একসঙ্গে ক্রিকেট খেলা শুরু। সচিন ক্রিকেট ঈশ্বরে মর্যাদা পেলেও বিনোদ কাম্বলি হারিয়ে গিয়েছেন নিজের দোষেই। জীবনে একাধিক সমস্যা, টানাপোড়েনে ক্রিকেট মাঠ থেকে ক্রমশ দূরে সরে গিয়েছেন কাম্বলি। প্রথম দিকে বন্ধুকে ট্র্যাকে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন সচিন। পরে অবশ্য তিনি সরে আসেন।
advertisement
বিতর্কিত জীবন যাপনের জন্য বারবার শিরোনামে থেকেছেন কাম্বলি। সচিন তেন্ডুলকর ও বিনোদ কাম্বলি সম্প্রতি তাঁদের প্রাক্তন কোচ প্রয়াত রমাকান্ত আচরেকরের মূর্তি উদ্বোধনে একে অপরের মুখোমুখি হন। সেখানে বিনোদ কাম্বলির স্বাস্থ্য নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। সচিন সেদিন কিছুটা এড়িয়েই যান কাম্বলিকে। এর পর সচিন তেন্ডুলকরকে নিয়ে বিনোদ কাম্বলির বিস্ফোরক মন্তব্য।
আরও পড়ুন- ৫২ বছর বয়স, দেখে মনে হয় ৭৫-এর বুড়ো! বিনোদ কাম্বলির রোগটা আসলে কী?
ছোটবেলায় বিনোদ কাম্বলি ও সচিন ভাল বন্ধু ছিলেন। তবে ২০০৯ সাল থেকে তাঁদের বন্ধুত্বে ফাটল ধরে বলে খবর। পরস্পরের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়। এমনকী কাম্বলির পাশেও নাকি আর দাঁড়াতে চাননি সচিন। এক সাক্ষাৎকারে বিনোদ কাম্বলি বলেন, ‘আমার মনে হত ২০১৩ সালে আমার সার্জারির সময় সচিন আমাকে সাহায্য করেনি। তখন আমি খুব বিরক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু সচিন আমার জন্য সব করেছিল একটা সময়। ২০১৩ সালে আমার দুবার অস্ত্রোপচারের খরচ ও দিয়েছিল। আমাদের বন্ধুত্ব অটুট ছিল।’
আরও পড়ুন- কেকেআরের ভয়ঙ্কর বিপদ! তারকা ক্রিকেটারের আঙুল ভাঙল, কেলেঙ্কারি কাণ্ড
কাম্বলি বলেন, ‘সচিন আমাকে বলত কীভাবে খেলবে হবে! আমি গোটা কেরিয়ারে মোট ৯ বার কামব্যাক করি। আমরা সবাই ক্রিকেটার, আমরা আঘাত পাই।’ বিনোদ কাম্বলি ওয়াংখেড়েতে তাঁর ডাবল সেঞ্চুরির কথা এখনও মনে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘আচরেকর স্যর আমার সঙ্গে ছিলেন সেই সময়। আমাদের টিমটাও দারুণ ছিল। আমি মুথাইয়া মুরলিধরনের সঙ্গে খুনসুটি করতাম। আমার যাত্রাপথ ভাল ছিল না, কিন্তু আমি নিজের সবটা দিয়েছিলাম। আমার পাশে থাকার জন্য আমার পরিবার ও বন্ধু সচিনের কাছে কৃতজ্ঞ।’