কিডনির অসুখে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন। সাড়ে তিন মাস ধরে তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল। গতকাল, শুক্রবার রাত থেকে অবস্থার আরও অবনতি হয়।
আরও পড়ুন-বিরাটকে শো-কজের কোনও পরিকল্পনাই ছিল না... সম্পূর্ণ ভুল খবর ! মুখ খুললেন সৌরভ
ভারতের জাতীয় দলের হয়ে ৬৯ টি ম্যাচ খেলেছেন সুভাষ ভৌমিক ৷ দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের পাশাপাশি কোচ হিসেবেও ভারতীয় ফুটবলে তাঁর অবদান বিরাট ৷
advertisement
কিডনির সমস্যার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন সুভাষ ভৌমিক। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে তাঁকে প্রায় নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হচ্ছিল। বছর তিনেক আগে তাঁর হৃদযন্ত্রে বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল। সম্প্রতি বুকে সংক্রমণের জন্য ভর্তি ছিলেন একবালপুরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে। তাঁর চিকিৎসা যাতে ভালো ভাবে হয়, তার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছিল বাংলার ক্রীড়ামহল। কিন্তু শেষ লড়াইটা হেরেই গেলেন লড়াকু ভোম্বলদা।
আরও পড়ুন-রাজ্যজুড়ে আজ বৃষ্টির পূ্র্বাভাস, আগামী দু’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন
ক্লাব কেরিয়ারে মোট ২৭টি ট্রফি জিতেছিলেন সুভাষ। মোহনবাগানকে দিয়েছিলেন ১৬টি ট্রফি। ইস্টবেঙ্গলেও তাঁর অবদান অনেক ৷ লাল-হলুদকে দিয়েছিলেন ১১টি ট্রফি ৷ কলকাতা লিগ থেকে শুরু করে আইএফএ শিল্ড- সব টু্র্নামেন্টই জিতেছেন সুভাষ ভৌমিক ৷ বাংলা ও দেশের হয়েও ট্রফি জিতেছেন সুভাষ। বাংলার সন্তোষ ট্রফি জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৭০ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন এই তেজিয়ান ফুটবলার।
ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর ফুটবলে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন সুভাষ। কোচিং। ১৯৮৬ সালে জর্জ টেলিগ্রাফের কোচ হিসেবে সুভাষের অভিষেক হয়। ১৯৯১ সালে প্রথম বড় ক্লাব মোহনবাগানের কোচ হন। তবে সুভাষের কোচিং জীবনের সেরা সময় কেটেছে ইস্টবেঙ্গলে। লাল-হলুদের আসিয়ান কাপ জয়ের কীর্তি কোনওদিনই ভোলার নয় ৷