মহিপাল (৩৪) বিরাটকে সাহায্য করার চেষ্টা করলেন, তাকেও ফিরিয়ে দিলেন বরুণ চক্রবর্তী। এরপর চাপে পড়ে বিরাট বড় শট খেলতে গিয়ে রাসেলের বলে ধরা পড়লেন ভেঙ্কটেশের হাতে। ৫৪ করে গেলেন বেঙ্গালুরু ক্যাপ্টেন। এখান থেকে যদি কেউ আরসিবিকে জয় এনে দিতে পারত, তবে সেটা দীনেশ কার্তিক।
ইডেনে ধোনির চেন্নাই এর বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে হারের ম্যাচে কেকেআর দলের একমাত্র উজ্জ্বল রেখা ছিলেন তিনি। ২৬ বলে ৬২ রান করেছিলেন। জেসন রয় পরিবর্ত ক্রিকেটার হিসেবে সার্ভিস দেবেন সেটা বোঝা গেছিল। আজ বেঙ্গালুরর মাঠে তিনি ওপেন করলেন। সঙ্গে ছিলেন বিরক্তিকর ওপেনার জগদীশন। বল নষ্ট করা ছাড়া যিনি কিছুই করতে পারলেন না।
advertisement
২৯ বলে ২৭ রানের একটা বিরক্তিকর ইনিংস খেলেন তামিলনাড়ুর ক্রিকেটার। তবে অন্যদিকে রয় স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেন। পাওয়ার প্লের মধ্যে কেকেআর পৌঁছে গেল ৬৬ রানে। ২৩ বলে ৫০ পূর্ণ করলেন ইংলিশ ওপেনার। দশ ওভার শেষে কেকেআরের রান ছিল ৮৮। ভাল খেলতে থাকা রয় (৫৬) বোল্ড হলেন বিশাকের বলে।
এবার ছিলেন ভেঙ্কটেশ এবং অধিনায়ক নীতিশ রানা। কিন্তু হঠাৎ করেই রান ওঠার গতি কমে গেল। রানার সহজ ক্যাচ গেলেন সিরাজ। এমনিতে বেঙ্গালুরর মাঠে জয় পেতে গেলে কম করে ২০০ রান করতে হয়। পরিসংখ্যান সেটাই বলে। ভেঙ্কটেশ এবং রানা দুজনেই যতটা ঝড় তোলা দরকার ছিল সেটা করতে পারলেন না ব্যাট হাতে। ১৫ ওভারের শেষ কলকাতার রান ছিল ১৩১/২।
রানা ৪৮ করে আউট হলেন। ভেঙ্কটেশ গেলেন ৩১ করে। দুটো উইকেট নিলেন হাসারাঙ্গা।রিঙ্কু সিরাজকে একটি ছয় এবং দুটি বাউন্ডারি মারলেন। রাসেল যথারীতি ব্যর্থ। বোল্ড হলেন। ডেভিড উইসে হর্ষলের শেষ ওভারে দুটি ছক্কা মেরে দুশো নিয়ে গেলেন।
দুর্দান্ত বল করলেন বরুন চক্রবর্তী। তিনটে উইকেট পেলেন তিনি। রাসেল এবং সুয়াষ দুটি করে উইকেট নিয়ে তাকে সাহায্য করলেন। টানা চারটে হারের পর আজ জিতে অক্সিজেন পেল কেকেআর।