গুরজপনপ্রীতের স্ন্যাপচ্যাটে প্রকাশিত ওই ভিডিওতে যুধবীরকে দেখা যায় বৈভবের দিকে ইঙ্গিত করে প্রশ্ন করছেন— “আমাদের মধ্যে কে দেখতে বড়?” বৈভবের কেবল উত্তর, “নো কমেন্টস।” এরপর তাঁরা হাসতে হাসতে বলেন, এত অল্প বয়সেই নাকি সে চুলে জেল ব্যবহার করে। বৈভব মুচকি হেসে মায়ের নামে শপথ করে বলেন, এমন কিছুই তিনি করেন না। ভিডিওটি প্রকাশের পর মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।
advertisement
রাজস্থান রয়্যালস যখন মাত্র ১৩ বছর বয়সে তাঁকে দলে নেয়, তখন থেকেই এই তরুণ প্রতিভা আলোচনায় চলে আসে। ভারতীয় ক্রিকেটে বয়স জালিয়াতির অভিযোগ নতুন নয়, তাই অনেকেই তাঁর প্রকৃত বয়স নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে বৈভবের পরিবার ও কোচরা তাঁর জন্মের প্রামণ প্রকাশ করেছেন এবং বিসিসিআই জানিয়েছে যে তারা বিষয়টি যথাযথভাবে যাচাই করেছে।
বৈভবের প্রতিভা দেখে বিসিসিআই কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই বলেছেন, তিনি “সিনিয়র দলের দরজায় কড়া নাড়ছেন”। কিশোর এই ব্যাটার হতে যাচ্ছেন ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে ভারত ‘এ’ দলে খেলা ক্রিকেটার। তাঁর প্রতিভা এতটাই অনন্য যে বোর্ড তাঁকে অনূর্ধ্ব-১৯ স্তর পেরিয়ে সরাসরি ‘এ’ দলে জায়গা দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মহম্মদ শামির কেরিয়ার শেষ? ইডেন টেস্টের আগে এবার মুখ খুললেন গিল, দিলেন বড় ইঙ্গিত
এত অল্প বয়সে এমন সাফল্য ভারতীয় ক্রিকেটে আগে দেখা যায়নি। সচিন তেন্ডুলকার, যুবরাজ সিং কিংবা পৃথ্বী শ’র মতো বিস্ময়বালকরা যেমন তরুণ বয়সেই দাপট দেখিয়েছেন, বৈভব সূর্যবংশীর উত্থান যেন সেই ধারাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁর গল্প শুধু প্রতিভার নয়, বরং এক অনন্য সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে উঠেছে ভারতীয় ক্রিকেটে।
