ভারতের রক্ষণকে থিতু হতে দেওয়ার আগেই ম্যচের ৪ মিনিটে প্রথম গোল করে দেয় উজবেকিস্তান। ভারতীয় পেনাল্টি এলাকার প্রান্ত থেকে একটি ইনসুইং ক্রস বাড়ান করেন নাসরুল্লায়েভ। ফয়জুল্লায়েভ ভালো জায়গায় ছিলেন। এবং তিনি সেই বল পেয়ে হেডে বল জালে জড়াত কোনও ভুল করেননি। এক্ষেত্রে ভারতের রক্ষণের ভুলের কারণেই গোল হজম করতে হয়।
advertisement
দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি উজবেকিস্তানকে। ১৮ মিনিটে ফের রক্ষণের ভুলে গোল হজম করতে হয় ভারতকে। ফয়জুল্লায়েভ বক্সের বাইরে থেকে শট নিলে সেই শট আকাশ মিশ্রর গায়ে লেগে বারে প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে। কিন্তু রক্ষণের কেউ না থাকায় তা ক্লিয়ার করা যায়নি। ভারতীয় ডিফেন্স পুরো বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছিল। সেই বল ফলো করে এসে সার্জিভ সহজেই গোলে।
৩০ মিনিটের পর থেকে ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরে ভারতীয় দল। মাঝমাঠের দখল নিয়ে একাধিক আক্রমণ গড়ে তোলে। গোল করার মত সুযোগও এসেছিল কিন্তু তা কাজে লাগেনি। ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে আরও একটি গোল খায় ভারত। নাসরুল্লায়েভের একটি শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। সেটি ক্লেয়ার করার জন্য সেভাবে তৎপর হয়নি। আর ফিরতি বল ধরেই দলের হয়ে তিন নম্বর গোলটি করেন নাসরুল্লায়েভ।
আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: একক-দশক থেকে লক্ষ-নিযুত-কোটি পর্যন্ত আমরা জানি, কিন্তু কোটির পর কী কী রয়েছে জানেন?
দ্বিতীয়ার্ধে, ভারতীয় দল অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। সুনীল-মহেশরা গোলের কাছাকাছিও পৌছে যায় একাধিকবার। কিন্তু জালে বল জড়াতে পারেনি। ৩ গোলের লিড থাকায় দ্বিতীয়ার্ধে সেভাবে আক্রমণে যায়নি উজেবেকিস্তান। যার ফলে দ্বিতীয়ার্ধে ভাল ফুটবল খেললেও শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলে ম্যাচ হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় ভারতকে। পরপর দুটি ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার পর অনেক কঠিন হয়ে গেল ভারতের।