মরক্কো - ৩
#ভুবনেশ্বর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো মহিলা ফুটবল বিশ্বের সেরা দলের কাছে বড় ব্যবধানে হারাটা আশ্চর্যের নয় ভারতীয় মেয়েদের পক্ষে। কিন্তু দেখার ছিল ভারতের মেয়েরা সেই হার থেকে কতটা শিক্ষা নেয়। ভারত যেমন প্রথম ম্যাচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরেছে, তেমনই মরক্কো প্রথম ম্যাচে হেরেছে ব্রাজিলের কাছে। ভারত-মরক্কো দু-দলের কাছেই ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ ছিল আজকেরটা।
advertisement
ভারতীয় দলের কোচ থমাস ডেনার্বির বিশ্বাস ছিল এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। বিশ্বকাপ থেকে ফল যাই হোক, ভারতের পাওয়ার অনেক কিছু রয়েছে। বিশ্বকাপের শুরুটা যেমনই হোক, আজ মরক্কোর বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল ভারতের মেয়েরা। ব্রাজিলের কাছে মাত্র ১ গোলে হেরেছে মরক্কো। ভারত সেখানে ৮ গোল খেয়েছে আমেরিকার কাছে। মানসিকভাবে অনেকটাই এগিয়ে থেকে নেমেছিল মরক্কো।
ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকে বলের দখল বেশি ছিল মরক্কোর। ১৮ মিনিটে বেঁচে যায় ভারত। মরক্কোর ফুটবলারের শট বাঁচিয়ে দেয় গোল পোস্ট। আগের দিন ৮ গোল হজম করা গোলকিপার চার্লিকে বদলে দিয়ে মেলোডিকে সুযোগ দিয়েছিলেন কোচ। ভারতের বাঁ দিক থেকে নেহা এবং ডান দিক থেকে নিতু বেশ কয়েকবার বিপক্ষ ডিফেন্সকে স্ট্রেচ করে বেরিয়ে গেলেন।
ডিফেন্সে শুভাঙ্গি, অষ্টম, নাকেটা লড়াই করছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই একটি পরিবর্তন আনল ভারত। মিডফিল্ডর কাজলকে তুলে নিয়ে সুধাকে নিয়ে আসা হল। ৫১ মিনিটে বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগিয়ে ফেললেন ভারতের ডিফেন্ডার নকেটা। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি এল মাদানি।
এরপর কোথায় ঘুরে দাঁড়াবে ভারত, আবার খেলার দখল নিয়ে নিল মরক্কো। ৬২ মিনিটে যৌহির গোল করে ব্যবধান বাড়ালেন মরক্কোর। ডান দিক থেকে একটা বল এসেছিল ভারতের বক্সে। হাত ফসকে বেরিয়ে যায় গোলরক্ষক মেলোডির। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেনি মরক্কো। এখানেই ঠিক হয়ে গেল ম্যাচের ভাগ্য।
কোয়ার্টার ফাইনালে ভারত আর উঠতে পারল না। সোমবার ব্রাজিলের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচটা কার্যত তাদের নিয়ম রক্ষার হয়ে দাঁড়াল। প্রশ্ন উঠবে বিদেশ সফর করে তাহলে কি লাভ হল! ভারত লড়াই করেছে ঠিকই। কিন্তু গোটা ম্যাচে একটা পজিটিভ সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। তাই সেই ভাল খেলার দাম নেই।
৭০ মিনিটের মাথায় স্ট্রাইকার লিন্ডাকে নামিয়ে একটা শেষ চেষ্টা করেছিল ভারত। কিন্তু মরক্কোর ডিফেন্স ভাঙা সম্ভব হয়নি। উল্টে ৪ মিনিট অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে আরও একটি গোল হজম করল ভারত। গোল করে গেলেন মরক্কোর শেরিফ।