ছেলের আর্থিক এবং সামাজিক উন্নতি হলেও রশিদ নিজের ফলের ব্যবসা ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি মনে করেন এই ফলের ব্যবসা থেকেই তিনি দাঁড়িয়েছেন, সংসার চালিয়েছেন। তাছাড়া এই ব্যবসা তাদের পারিবারিক। তার ভাইরা যুক্ত। আর ছেলে ভারতের জার্সিতে নাম করেছে বলে গর্বিত হলেও নিজের ব্যবসা তার বড় আপন।
আগে উমরান হেঁটে যেতেন, সাইকেল ছিল। এখন দুটি গাড়ির মালিক। তবুও মাটির কাছাকাছি থাকতে চান আব্দুল রশিদ। গরিব পরিবার থেকে উঠে আসার গল্প অনেকেই বলেন। কিন্তু পরে গা ভাসিয়ে দেন জীবনের আতিশয্যে। উমরানের বাবা অবশ্য তার ছেলেকে উপদেশ দিয়েছেন যত টাকার মালিক হোন, যেন নিজের বেড়ে ওঠার স্থান এবং জায়গা ভুলে না যান।
advertisement
যে পথে চলে সাফল্য এসেছে সেই পথ দিয়েই যেন আগামী দিনে হাঁটেন। এদিকে উমরান নিজে জানিয়েছেন ভারতীয় দলের সিনিয়র ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামির উপদেশ পেয়েছেন তিনি। শামি তাকে জানিয়েছেন গতির পাশাপাশি যদি নিজের লাইন এবং লেন্থ নিয়ে সঠিক থাকতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে তিনি ক্রিকেট বিশ্বে রাজত্ব করবেন।
তবে বাবা হিসেবে আব্দুল রশিদ চান ছেলে উমরান নিজেকে ফিট রাখুক এবং দীর্ঘদিন ভারতের জার্সিতে খেলুক। তিনি নিজেকে উমরান মালিকের বাবা বলে গর্বিত বোধ করেন।