ইংল্যান্ড পিছিয়ে ৫২ রানে (লাঞ্চ)
#লন্ডন: ওভাল টেস্টে দ্বিতীয় দিন সকালে ইংল্যান্ডের দুটি উইকেট তাড়াতাড়ি তুলে নিলেন উমেশ যাদব। ওভারটার্ন এবং মালানকে দুটি দেখার মত বলে ফিরিয়ে দিলেন। মাত্র ১০ রান যোগ করে দুটি উইকেট চলে গেল ইংল্যান্ডের। মনে হয়েছিল এরপর ভারতীয় বোলাররা চেপে ধরবেন ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু জনি বেয়ারস্টো এবং এই সিরিজে প্রথম খেলা ওলি পোপ দাঁড়িয়ে গেলেন। প্রথমদিকে একটু সেট হয়ে নিলেন। তারপর ভারতীয় বোলারদের রীতিমতো ব্যাকফুটে ঠেলে দিলেন।
advertisement
সিঙ্গল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন, খারাপ বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন। শার্দুল ঠাকুরের একটি ওভারে তিনটি বাউন্ডারি মারলেন পোপ। বেয়ারস্টো স্ট্রেট ড্রাইভ মারলেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আধঘন্টা আগে থেকে ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা চেপে বসলেন। বল নরম হয়ে যাওয়ার ফলে সুবিধে হল ব্যাটসম্যানদের।
উমেশ যাদব দীর্ঘদিন পর নিজের ছন্দ দেখালেন। তিনটি উইকেট নিয়েছেন এখন পর্যন্ত। কিন্তু শার্দুল ঠাকুর বল হাতে কতটা সফল হতে পারবেন সন্দেহ আছে। হয়তো এই জায়গাটায় ভারত মিস করছে রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে। এরকম পরিস্থিতিতে অশ্বিন থাকলে ব্যাটসম্যানদের আউট করার সুযোগ বেশি তৈরি হত। পিচের থেকে সাহায্য না পেলেও হাওয়ায় গতির পরিবর্তন করে ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে পারেন অশ্বিন।
জাদেজা উপমহাদেশের ঘূর্ণি উইকেটে যতটা সফল, বিদেশের মাটিতে ততটা নন। সেটা প্রমাণ হচ্ছে। ভারতের মাটিতে বাঁহাতি স্পিনারের বিরুদ্ধে নাকানিচোবানি খেয়েছিল ইংল্যান্ড। আর ইংলিশ উইকেটে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা সহজেই খেলে দিচ্ছেন। বিরাট কোহলি মুখে স্বীকার করুন আর নাই করুন, অশ্বিনকে দলে না রাখা যে ভারতের মস্ত বড় ভুল তাতে সন্দেহ নেই।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর দ্বিতীয় সেশনে দুটি উইকেট দ্রুত ফেলতে না পারলে ভারতের মাথা ব্যাথা বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে জনি বেয়ারস্টো আর কিছুক্ষণ থাকলে সব হিসেব বদলে দিতে পারেন। হাতে সব ধরনের স্ট্রোক রয়েছে তাঁর। তাই তাড়াতাড়ি উইকেট নিতে হবে ভারতকে।