মঙ্গলবার রাতে রুপো জিতেছেন তিনি। যদিও তা হয়ে উঠছে সোনার চেয়েও দামি। পদক জিতেই আদর্শ দেশপ্রেমীর মতো সংগ্রামের বার্তা দিয়েছেন মাহুচিখ। স্পষ্ট বলেছেন, আমাদের ভূখণ্ডের স্বাধীনতার জন্য সকলে মিলে লড়াই চালিয়ে যাব। শেষ পর্যন্ত জয়ও পাব আমরাই। গ্যালারিতে ইউক্রেনের জার্সি পরে অনেকেই গলা ফাটাচ্ছিলেন মাহুচিখের হয়ে।
আরও পড়ুন - Bangladesh cricket : ভারতের মাটিতে একদিনের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশের মিরাজ
advertisement
সেই প্রসঙ্গে ২০ বছর বয়সি জাম্পার বলছেন, এই সাফল্য পুরোটাই ইউক্রেনের মানুষের জন্য। আমাকে যাঁরা সমর্থন জানিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ইউক্রেনের মোট ২২জন অ্যাথলিট এসেছেন অরিগনে। মাহুচিখের মতো প্রত্যেকেই দেশ থেকে বহুদূরে সেরেছেন প্রস্তুতি। কেউ পর্তুগালে, কেউ স্পেনে, কেউ পোল্যান্ডে।
মাহুচিখ যেমন তুরস্ক, জার্মানি, সার্বিয়া হয়ে প্রস্তুতিতে তুলির শেষ টান দিয়েছেন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে। তাঁর মা, বোন ও ভাইঝি রয়েছেন জার্মানিতে। তবে বাবা ও ঠাকুরদা অবশ্য ডিনিপ্রো শহর ছাড়েননি, যা এখনও ঘিরে রেখেছে রুশ বাহিনী। ফলে কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন মাহুচিখ, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।
সেই যন্ত্রণা ঝরে পড়েছে তাঁর গলায়, যদি বিমানবন্দরে নেমে সোজা ফিরতে পারতাম আগের মতো কী আনন্দই না হত! কিন্তু এই মুহূর্তে তা সম্ভব নয়। রাশিয়ানরা ছিনিয়ে নিয়েছে আমাদের মৌলিক অধিকার। একা মাহুচিখ নন, ইউক্রেনের অন্য অ্যাথলিটদের মনেও কম-বেশি এমন যন্ত্রণা রয়েছে।
কিয়েভে বোমাবর্ষণের সময় বাড়ির বেসমেন্টে এক সপ্তাহ লুকিয়ে ছিলেন মাহুচিখের সতীর্থ ইরিনা জেরাসচেঙ্কো। তিনি মহিলাদের হাইজাম্পে চতুর্থ হন। তাঁর কথায়, যুদ্ধ এখনও চলছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলেও লড়াই পুরোপুরি থামেনি। আগের মতো জীবন কাটানো অসম্ভব।
একটাই স্বস্তি যে বাবা-মা নিরাপদে রয়েছেন।মাহুচিখ জানিয়েছেন এই পদক জয় সমগ্র ইউক্রেনবাসীর জন্য। রাশিয়ার বিরুদ্ধে তারা হেরে যাবে না এই জয়, সেটাই প্রমাণ করে।