ভারতীয় সময় অনুযায়ি গভীর রাতের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি বনাম ইন্টারমিলান ফাইনাল ঘিরে উত্তেজনা ছিল চরমে৷ ম্যান সিটি এদিন নিজেদের প্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে নেমেছিল৷ অন্যদিকে ইন্টারও কোনও কসুর করেনি৷ প্রথমার্ধে গোলমুখ খুলতে পারেননি পেপ গুয়েরদিওলার ছেলেরা৷ তার ওপর দলের ভরসার অন্য নাম কেভিন ডি ব্রুয়েন হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ থেকে উঠে যান৷ কিন্তু খেলার ৬৮ মিনিটে রড্রি কোনও ভুল করেননি৷ এদিনের ম্যাচে একমাত্র গোলের মালিক তিনিই৷
advertisement
রাইট চ্যানেল থেকে বল নিয়ে নেন আকাঞ্জি৷ সেটা সিলভাকে রাইট চ্যানেলে রিলিজ করতে গিয়ে বল মাঝে পাঠান৷ ডারমিয়ানের কাছ থেকে বলের ডিফ্লেকশন হয়৷ এরপরেই পেনাল্টির আবেদন হয়৷ যদি এই অবস্থাতেই রড্রি লুজ বল নিয়ে দুজনকে কাটিয়ে বল নেটে পৌঁছে দিতে সমর্থ হন৷
আতাতুর্ক অলিম্পিয়াটে নিজেদের খেতাব জয়ের জন্য এই গোলই তাদের জন্য সেরা মুহূর্ত প্রমাণিত হয়৷ পরের দিকে রোমেলু লুকাকু ইন্টার মিলানে পরিবর্ত হিসেবে নেমে সমতা ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা করলেও গোলমুখ খুলতে পারেননি৷
এদিনের জয়ের ফলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফ এ কাপের পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লিগও জিতে নিল তারা৷ আর ম্যানেজার হিসেবে ফের একবার নিজের প্রোফাইল আরও খানিকটা উজ্জ্বল করে নিলেন পেপ গুয়েরদিওলা৷
১৯৯৮-৯৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড একমাত্র ইউরোপিয়ান ক্লাব হিসেবে ত্রিমুকুট জয়ের নজির গড়েছিল আর তার প্রায় ২৫ বছর পর ম্যানচেস্টার সিটি পেপ গুয়েরদিওলার হাত ধরে সেই বিরল কৃতিত্ব ফের একবার ছুঁয়ে দেখাল৷
সিটি প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের কাছে থেকে মুকুট ছিনিয়েছে, এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়েছে৷ পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের পথে যেতে রিয়েল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখের মতো হেভিওয়েটদের হারিয়েছে৷
পেপ গুয়েরদিওলা বার্সিলোনা, বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব জিতেছেন এবার জিতলেন ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে৷ তিনি যে লিওনেল মেসিকে ছাড়াও ইউরোপ সেরা করতে পারেন নিজের দলকে তাই প্রমাণ করলেন আরও একবার৷