#অ্যান্টিগা: কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সকাল দেখেই বোঝা গেছিল দিনটা হয়তো ভারতের হতে চলেছে। টস ভাগ্য ভারতের সহায় হল। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কুপার কনলিকে হারিয়ে টস জিতলেন ইয়াশ ধুল। চোখ বন্ধ করে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিল ভারত। দুই ওপেনার রঘুবংশী (৬) এবং
হারনুর সিং সাবধানে শুরু করলেন। কিন্তু ব্যর্থ দুজনেই। সালজম্যান বোল্ড করলেন রঘুবংশীকে। হারনুর (১৬) পুল মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন উইকেটরক্ষককে।
advertisement
উইকেটে এলেন শেখ রশিদ এবং ইয়াশ ধুল। অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ক জানতেন একটু সময় নিয়ে খেলাটা ধরতে পারলে রান তুলতে সমস্যা হবে না। সেভাবেই স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন। লুজ বল পেলে মাঠের বাইরে পাঠালেন। সিঙ্গল, ডবল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন। একটা সময় মন্থর হয়ে গিয়েছিল ভারতের রানের গতি। ৩৭ ওভারের পর থেকে দুজনে রান তোলার গতি বাড়ালেন।
তবে ভাগ্য ভাল ভারতের। সহজ রানআউট কাজে লাগাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। না হলে ফিরে যেতে হত ইয়াশ ধুলকে। ৪২ ওভারে ২০০ উঠে গেল ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সহজেই সামলালেন শেখ রশিদ এবং ধুল। ডাগআউটে বসে বেশ উপভোগ করতে দেখা গেল ভিভিএস লক্ষ্মণকে। সবচেয়ে বড় কথা দুটো উইকেট হারানোর পর এত চাপের ম্যাচে যেভাবে পরিণত বোধ দেখাল দুই ব্যাটসম্যান, সেটা তারিফ যোগ্য।
অস্ট্রেলিয়ার রহস্য স্পিনার রাধাকৃষ্ণণ কোন প্রভাব ফেলতে পারলেন না। যত সময় গেল ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা রাজ করলেন। অন্ধ্রপ্রদেশের রশিদ এবং দিল্লির ইয়াশ ভরসা দিলেন ভারতকে। তবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নিসবেত যথেষ্ট কৃপণ বোলিং করলেন। প্রশ্ন ছিল দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যান কি সেঞ্চুরি করবেন? দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৮৫ করেছিলেন ইয়াশ। আজ করলেন শতরান।
সঠিক জায়গায় অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে দেখিয়ে দিলেন দিল্লির ছেলে। বিরাট কোহলি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং উন্মুক্ত চাঁদ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শতরান করেছিলেন অনূর্ধ্ব উনিশে। আজ পূর্বসূরিদের স্পর্শ করলেন ইয়াশ। বোলারের হাত লেগে রান আউট হয়ে গেলেন ১১০ বলে ১১০ করে।
পরের ওভারেই আউট হয়ে গেলেন শেখ রশিদ। ভাগ্য খারাপ তার। ফিরে যেতে হল ৯৪ রানে। এরপর রাজবর্ধন হাঙ্গরগেকর এবং সিন্ধু মিলে চেষ্টা করলেন রান বাড়ানোর। হাঙ্গরগেকর দশ বলে ১৩ করে বোল্ড হলেন। শেষ ওভারে নিশ্নত এবং দীনেশ মিলে ২৭ রান তুল্লেন।