স্কুলে পড়াকালীন ইয়াশের সাথে তার বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরলেন কোচ রাজেশ নাগার। আমি বিরাট ভাইয়ার মত হয়ে চাই, ইয়াশের মুখে বরাবরই শুনতেন নাগার। রান মেশিন বিরাট ছিল তার রোল মডেল, শুধু তাই নয় কোচ নিজেও তার মধ্যে বিরাটের ছায়া দেখতে পেতেন। তিনি বললেন, ইয়াশের ব্যাটিং আগ্রাসী ছিল, সে শট নিত আগ্রাসন নিয়ে, বিরাটের লালিত্য তার মধ্যে দেখা যেত। এমনকি তার ফিল্ডিংয়ের সময়ও বিরাটের ছায়া দেখতে পান বললেন রাজেশ।
advertisement
আরও পড়ুন - Baby AB: কে এই 'বেবি এবি', যাঁকে নিয়ে বিশ্বক্রিকেটে এখন হইচই!
শুধু বিরাট কোহলি নয়, মহেন্দ্র সিং ধোনির মত নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাও ইয়াশের মধ্যে দেখতে পেয়েছেন তার কোচ। তিনি বললেন, অধিনায়ক হিসেবে ইয়াশ ধোনির মতই ধীরস্থির। তিনি তার সতীর্থদের সমর্থন করেন, তাদের উপদেশ দেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তিনি ঠান্ডা মাথায় থাকেন। তিনি হলেন বিরাট এবং ধোনির সংমিশ্রণ। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে তিনি হেডলাইনে এসেছিলেন সেমি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১০ রান করে।
এটি ছিল ভারতের বিশ্বকাপ সফরের কঠিনতম ম্যাচ, রান তাড়া করতে নেমে ৩৭ রানেই দুটো উইকেট পরে যায়। তারপর ইয়াশ এবং ভাইস ক্যাপ্টেন শহিক রশিদ মিলে ম্যাচজয়ী ২০৪ রানের পার্টনারশিপ খেলেন। ৯ বছর বয়সী ইয়াশ তার দাদুর সাথে যেতেন একাডেমিতে। সেখানেই তিনি কোচ রাজেশ নাগারের হাতে পড়েন।
তার দাদু ভারতীয় বিমান বাহিনীতে ছিলেন, হয়তো ইয়াশের লড়াকু মনোভাবের উৎস এখন থেকেই। একাডেমিতে গিয়ে বাকি নতুন শিক্ষার্থীদের মতই রাজেশ তাকে প্যাড পড়তে বলেন এবং বেশ কয়েকটি বল করেন তাকে। তার ব্যাটিং কৌশল এবং দক্ষতা দেখে অবাক হয়ে যান রাজেশ। বয়স কম হলেও ইয়াশ মানসিকভাবে বেশ পরিণত। তিনি শুধু ক্রিকেট খেলতে চান মন দিয়ে। জুনিয়র বিশ্বকাপ জয় তার মাথা ঘুরিয়ে দেবে না, নিশ্চিত কোচ।