ফাইনালে চার ওভার বল করে মাত্র ছয় রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট। ইংল্যান্ড দলের টপ অর্ডার ভাঙতে সাহায্য করেছেন তিতাস। জিতে নিয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তারপর থেকেই চর্চায় শুধু বাংলার মেয়ে। ফোন করে বললেন, ‘‘অনেকবার ফোন এসেছিল আপনার। কিন্তু ধরতে পারিনি। আসলে বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের পর থেকে শুধু সেলিব্রেশন চলছে। এখনও একটা অনুষ্ঠানে রয়েছি। আপনার এতবার ফোন দেখে কল ব্যাক করলাম। নিজের পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিতাস বললেন, এই মুহূর্তে খুব বেশি কথা বলা যাবে না। আগামিকাল সকাল দশটায় বিস্তারিত কথা বলছি।’’
advertisement
আরও পড়ুন- বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল, নতুন ইতিহাস লিখলেন শেফালি বর্মারা
অনুরোধ ছিল বেশি বলতে হবে না, চার পাঁচটা প্রশ্নের উত্তর দিলেই হবে। অনুরোধে আর না করতে পারেননি তিতাস। বললেন তাড়াতাড়ি বলুন প্লিজ। আপনারা তো ইতিহাস তৈরি করলেন। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই চ্যাম্পিয়ন। তবে তার থেকেও বেশি ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রথম বড় মঞ্চে ট্রফি। মিতালি-ঝুলন যা পারেননি তা করলেন আপনারা। ফাইনাল জেতার পর অনুভূতি ঠিক কী হয়েছিল? তিতাসের খুব সহজ উত্তর, ‘‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি কয়েক ঘন্টা হয়ে গেল তবুও এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না আমরা বিশ্বসেরা। ট্রফি জেতার পর থেকে সেলিব্রেশন চলছে। প্রথমবার ভারতীয় দলের জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলতে নেমে জিততে পেরে খুব আনন্দ হচ্ছে।’’
আপনি তো ম্যাচের সেরা হয়েছেন। এই অনুভূতি নিশ্চয়ই আলাদা? ‘‘দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেটাই গর্বের মুহূর্ত। দেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আমারও অবদান রয়েছে এটা ভেবে খুব ভালো লাগছে। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেটা পালন করতে পেরেছি আশা করি।’’ পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলেন? তিতাসের উত্তর, ‘‘বাড়িতে বাবার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। সাংবাদিকরা বাড়িতে গিয়েছিল বাবা বললেন। আমাকে নিয়ে খবর হয়েছে শুনলাম। বেশি কথা বলতে পারিনি। আগামিকাল বলব।’’
শিব শঙ্কর পালের সময় বাংলা ক্রিকেট দলে আপনার উত্থান। সিনিয়র দলে খেলেছেন। আপনার খুব প্রশংসা করছিলেন ঝুলন গোস্বামী... প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই তিতাসের উত্তর, ‘‘দিদি আমার প্রিয় ক্রিকেটার। সবার ভরসার মর্যাদা রাখতে পেরেছি ভালো লাগছে। দিদি আমাকে অনেক টিপস দিয়েছেন।সেগুলো কাজে লাগাতে পেরেছি।’’ আপনার প্রিয় ক্রিকেটারকে? তিতাস জানালেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স পছন্দের। আর মহিলা ক্রিকেটে অবশ্যই ঝুলন গোস্বামী।’’
একটা শেষ প্রশ্ন, চার ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে দুই উইকেট। আপনার সাফল্যের রহস্য কী? তিতাসের খুব ছোট এবং উত্তর, ‘‘দলের কোচ স্যাররা যা করতে বলেছেন সেগুলো করার চেষ্টা করেছি। নির্দিষ্ট জায়গায় বল রাখার চেষ্টা করেছি।’’ উত্তর শেষ করে তিতাসের অনুরোধ আর প্রশ্ন নয় প্লিজ। আমাকে ডাকছে যেতে হবে। তবে ফোন ছাড়ার আগে আগে তিতাসের কাছে একটাই জিজ্ঞাসা ছিল। কলকাতায় ফিরছেন কবে? ‘‘ঠিক জানিনা ১ তারিখ রাতে কিংবা দোসরা ফেব্রুয়ারি। দেশে ফিরে আহমেদাবাদ যাব আমরা ভারত-নিউজিল্যান্ড শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। বোর্ড আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এখন রাখছি, কাল ফোন করুন অবশ্যই আরো বিস্তারিত কথা বলব।’’ ফোন রাখার আগে তিতাসকে নিউজ18 বাংলার তরফ থেকে অসংখ্য শুভেচ্ছা জানানো হল। ধন্যবাদ দিয়ে ফোন ছাড়লেন বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় মহিলা দলের তারকা বাংলার ফাস্ট বোলার তিতাস সাধু।
