সেই ক্রিকেটারের নাম মনীশ পাণ্ডে। তাঁকে বারবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফ্লপ প্রমাণিত হয়েছেন। নির্বাচকরা ইতিমধ্যেই মনীশ পাণ্ডের নাম ভারতীয় দলের বিবেচনা থেকে বাতিল করে দিয়েছেন। এখন তাঁর ফেরার সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে।
মনীশ পাণ্ডে-কে এক সময় টিম ইন্ডিয়ার ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে দেখা হত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেশিরভাগ সময়ই তিনি রান পাননি।অথচ একটা সময় ভারতীয় দলের জার্সিতে শুরুটা ভাল করেছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে অভিষেকে ৮৬ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলে নজর কেড়েছিলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘চাকরি’ যাচ্ছে গৌতম গম্ভীরের! বড়সড় দাবি মহাতারকার, এমন কারণ আগে দেখেনি ভারতীয় ক্রিকেট
সেই ইনিংসের ঠিক পরের বছর ২০১৬-তে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনিতে ৮১ বলে ১০৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে একাই ভারতকে জয় এনে দেন। তবে এই উজ্জ্বল মুহূর্তগুলোর পর তাঁর কেরিয়ার আর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। তিনি দল থেকে বারবার বাদ পড়তে থাকেন। চোট-আঘাতও তাঁর বহু বড় সুযোগ কেড়ে নিয়েছে।
অনেক দিন ধরে নির্বাচকদের নজরে নেই মনীশ পাণ্ডে। ভারতীয় দলের হয়ে তিনি এখনও পর্যন্ত ৩৯টি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, ৪৪.৩১ গড়ে এবং ১২৬.১৫ স্ট্রাইক রেটে মোট ৭০৯ রান করেছেন। তিনি কখনও ধারাবাহিক পারফর্মার ছিলেন না — আর এটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। এই কারণেই তাঁকে বারবার দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছে।
মনীশ পাণ্ডে আইপিএল-এ নিজের যাত্রা শুরু করেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB)-এর সঙ্গে। ২০০৯ সালে তিনি আইপিএলে সেঞ্চুরি করা প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হন। ডেকান চার্জার্স হায়দরাবাদ-এর বিরুদ্ধে মাত্র ৭৩ বলে অপরাজিত ১১৪ রান করেন, সেই ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা। সেই সময় RCB-র অধিনায়ক ছিলেন অনিল কুম্বলে। ওই ইনিংস তাঁকে রাতারাতি পরিচিতি এনে দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই আগুনের ফুলকি আর আলো হয়ে ফুটে ওঠেনি।