একটা সময় ক্রিকেট বিশ্বের বিধ্বংসী ওপেনারদের তালিকায় তাঁর নাম থাকত। সনথ জয়সূর্যের কথা উঠলে আজও অনেকে বলে ওঠেন, দুরন্ত ব্যাটার। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল সমস্যায় ভরা।
বাঁহাতি এই কিংবদন্তি ব্যাটার গত মাসে ৫৬ বছরে পা দিয়েছেন। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে রমেশ কালুভিথারানার সঙ্গে তাঁর ওপেনিং পার্টনারশিপ আজও অনেকের মনে আছে। যেমন বিধ্বংসী ব্যাটিং করতেন, তেমনই দুর্ধর্ষ স্পিন বোলিং ছিল তাঁর অস্ত্র। শ্রীলঙ্কার বহু স্মরণীয় জয়ের সাক্ষী তিনি। সেই জয়সূর্যর ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা ছিল নিত্যসঙ্গী।
advertisement
আরও পড়ুন- দু’হাত ভরে রোজগার, তবু ‘ফকির’ হলেন! বিনোদ কাম্বলির মারাত্মক ভুলের কথা এবার জানাজানি
তিনবার বিয়ে করেছিলেন তিনি, কিন্তু তিনবারই বিয়ে ভেঙে যায়। ১৯৯৮ সালে এয়ার শ্রীলঙ্কার গ্রাউন্ড হোস্টেস সুমুদু করুণানায়েকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সেই বিয়ে এক বছরও টেকেনি। ৬ মাসের মধ্যেই জয়সূর্য তাঁকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
জয়সূর্য অবশ্য দাবি করেন, স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। ২০০০ সালে জয়সূর্য বিয়ে করেন স্যান্ড্রা ডি সিলভাকে। তিনি শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট ছিলেন। তাঁদের তিনটি সন্তান হয়। সাবিন্দি জয়সূর্য, ইয়ালিন্দি জয়সূর্য এবং রাউনিক জয়সূর্য। তবে স্যান্ড্রার সঙ্গেও জয়সূর্যের সম্পর্ক ভেঙে যায়। প্রাক্তন স্ত্রী দাবি করেন, জয়সূর্য বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
এর পর অভিনেত্রী মল্লিকা সিরিসেনার সঙ্গে জয়সূর্যের বিয়ে হয়। ২০১২ সালেএক বৌদ্ধ মন্দিরে গোপনে বিয়ে করেন তাঁরা। শ্রীলঙ্কার জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মল্লিকা। এর পরই সেই মল্লিকাও জয়সূর্যকে ছেড়ে এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে নেন। ২০১৭ সালে প্রতিশোধস্পৃহা জেগে ওঠে জয়সূর্যর। বদলা নিতে মল্লিকার একটি গোপন ভিডিও ফাঁস করে দেন তিনি।
ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। সেই ভিডিওতে জয়সূর্য ও তাঁর প্রেমিকাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়।