দীনেশ কার্তিকের প্রেমে জীবনের কথা অনেকেই জানেন। তবে যাঁরা জানেন না, এই প্রতিবেদন তাঁদের জন্য। ভারতের হয়ে ফিনিশার হিসেবে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই তিনিই কি না নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন!
২০০৪ সালে ভারতের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন দীনেশ কার্তিক। এর পর তিনি কখনই নিয়মিত সদস্য ছিলেন না ভারতীয় দলের। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল চমৎকার। ২০০৪ সালের শেষের দিকে ধোনিকে ভারতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হয়। সেই সময়ে কিছু নির্বাচক কার্তিককে সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিলমোহর ছিল ধোনির নামে।
advertisement
আরও পড়ুন- KKR News: বলুন তো, আইপিএলে কোন দলের বিরুদ্ধে কোনও দিন জিততে পারেনি কেকেআর?
এর পরে ধোনি দুরন্ত পারফর্ম করে টিম ইন্ডিয়াতে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেন। ২০০৭ সালে ধোনি অধিনায়ক হওয়ার পর কার্তিক খেলেন। ধোনি যখন দলের বাইরে ছিলেন, তখন টিম ইন্ডিয়ার উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব সামলাতেন কার্তিক।
এই সময়ে দীনেশ কার্তিক ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল পারফর্ম করলেও ধোনি দলে থাকার কারণে খুব বেশি সুযোগ পাননি। তবে তাঁকে তামিলনাড়ুর রনজি দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল।
কার্তিক ২০০৭ সালে তাঁর ছোটবেলার বন্ধু নিকিতাকে বিয়ে করেন। এর পরই কার্তিকের স্ত্রী ক্রিকেটার মুরলী বিজয়ের সাথে পরকীয়া শুরু করেন। একদিন নিকিতা এসে কার্তিককে বলেন, তিনি মুরলী বিজয়ের সন্তানের মা হতে চলেছেন। কার্তিককে বিবাহবিচ্ছেদের কথা বলেছিলেন তিনি।
বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর কার্তিকও পুরোপুরি ভেঙে পড়েন। কোনও কাজেই তাঁর আর আগ্রহ ছিল না। ক্রিকেট অনুশীলন বন্ধ করে দেন। জিমে যাওয়া বন্ধ করে একা থাকতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন- হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে এ কী হাল রোহিতের!শেষমেশ এই কাজ হিটম্যানের
কার্তিকের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর তাঁর ফর্ম ক্রমাগত খারাপ হতে থাকে।তামিলনাড়ুর অধিনায়কত্ব হারান। দলের নতুন অধিনায়ক হন মুরলী বিজয়। তিনি ভারতীয় দলেও নির্বাচিত হন এবং দীর্ঘদিন ধরে বিজয় টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ওপেনিং করেন। সেই সময় কার্তিক ডিপ্রেশনে চলে যান। আত্মহত্যার কথা তাঁর মাথায় ঘুরপাক খেতে শুরু করে।
এর পর কার্তিকে জীবনে আসেন স্কোয়াশ প্লেয়ার দীপিকা পাল্লিকেল। দীপিকার সমর্থন পাওয়ার পর কার্তিক ঘুরে দাঁড়ান। তিনি আবার ভারতের ওডিআই দলে নির্বাচিত হন। এর পর কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়কত্ব পান।
কার্তিকের অধিনায়কত্বে কলকাতা ভাল খেলে। তবে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। এর পর তাঁর জায়গায় মরগানকে কেকেআর-এর অধিনায়ক করা হয়েছিল। এর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে শুধুমাত্র আইপিএল খেলার কথা ভাবছিলেন কার্তিক। তবে তিনি এখনও খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন সমান তালে।