ভারতীয় অধিনায়ক শুভমান গিল আচমকা রেগে যান। এর পর তিনি ইংল্যান্ডের ওপেনারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেন মাঠেই। আর সঙ্গে অশোভন ইঙ্গিতও করেন। এর পর তিনি জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেটের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন।
এত কিছুর পর আইসিসি শুভমান গিলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না, এমনটা হওয়া অসম্ভব। ম্যাচ রেফারির সামনে দাঁড়িয়ে তাঁকে এমন আচরণের কারণ জানাতে হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে প্রথমবার অধিনায়কত্ব করছেন শুভমান গিল। মাঠে মেজাজ হারানো তাঁর জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ লর্ডসে চলছে। তৃতীয় দিনের শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের ওপেনারদের সঙ্গে শুভমান গিলের তীব্র বিতণ্ডা সবার নজরে এসেছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভারত প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ৩৮৭ রানে অলআউট করে। এর পর ব্যাট করতে নেমে ভারত তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে একই স্কোরে (৩৮৭) অলআউট হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- টেনিস প্লেয়ার রাধিকাকে কেন এমন নৃশংসভাবে খুন করল তার বাবা? সামনে এল তোলপাড় করা কারণ!
কেএল রাহুল দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন, আর ঋষভ পন্থ ও রবীন্দ্র জাদেজা হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তৃতীয় দিনের শেষে যখন ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে, তখন জ্যাক ক্রলি সময় নষ্ট করার কৌশল নেন। কেএল রাহুল দিন শেষে বলে যান, “আমরা যে কোনও মূল্যে আরও অন্তত ২ ওভার করতে চেয়েছিলাম, যাতে উইকেট নেওয়ার একটা সুযোগ পাওয়া যায়।”
ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করার উদ্দেশ্যে জ্যাক ক্রলি এদিন জসপ্রিত বুমরাহর পঞ্চম বলে গ্লাভস খুলে হাতে আঘাত লেগেছে বলে ইঙ্গিত দেন। তিনি ফিজিওকে ডাকেন মাঠে। এই ধরণের কৌশল শুভমন গিলের পছন্দ হয়নি। প্রথমে তিনি অশ্রাব্য মন্তব্য করেন, তার পর পিচে গিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
বিতর্ক আরও বাড়তে থাকে। অবশেষে আম্পায়ারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তৃতীয় দিনে শুভমন গিল যেভাবে জ্যাক ক্রলির কাছে গিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং মাঠে পরিবেশ খারাপ করেন, সেটা আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টের লঙ্ঘন। যদি কোনও খেলোয়াড় ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করেন, তা হলে অধিনায়ক আম্পায়ারকে বিষয়টি জানাতে পারেন। আম্পায়ারের দায়িত্ব ম্যাচকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা।