আফগানিস্তানের এই পরাজয়ের পর তালিবানের বড় নেতা আনাস হাক্কানিও বিস্মিত। যদিও ভাল কথা এই যে তালিবান এমন পরাজয়ের পর তাদের দলের সমালোচনা করেনি। বরং তাদের ক্রিকেটারদের পারফরম্য়ান্স-এর প্রশংসা করেছে। হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা জালালুদ্দিন হাক্কানির ছেলে আনাস হাক্কানি ম্যাচের পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তার দলকে উৎসাহিত করেছেন। মির্জা আজিম বেগের একটি কবিতার উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন – গির্তে হ্যায় শাহশাওয়ার হি ময়দান-এ-জং মে, বো তিফল ক্যায়া গিরেগা জো ঘুটনো কে বল চলে। অর্থাৎ, যুদ্ধে গিয়ে কেবল একজন যোদ্ধাই পড়ে যায়। যে বাচ্চাদের মতো হাঁটু মুড়ে হাঁটে, সে কী করে পড়বে!
advertisement
আরও পড়ুন- সোফার সঙ্গে মুখের মিল শাহিন আফ্রিদির! ভারতের 'শত্রু'কে নিয়ে মিম-এর বন্যা
তালিবান ও ক্রিকেট-
আনাস হাক্কানি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই জনপ্রিয়। আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের অনেক ক্রিকেটার তাঁকে অনুসরণ করেন। এখন পর্যন্ত তার এই টুইট প্রায় ১০ হাজার লাইক পেয়েছে। হাক্কানি নেটওয়ার্ক তালিবান সহযোগী। এই নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরের ১৫ অগাস্ট তালিবান আফগানিস্তান দখল করে। তালিবান আফগানিস্তানে শাসন কায়েম করার পর থেকেই ক্রিকেটকে উত্সাহ জুগিয়েছে।
আফগানিস্তানের হার-
দুবাইয়ে পাকিস্তানের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে পাওয়ার প্লে-তে চার উইকেট হারায় আফগানিস্তান। কিন্তু এর পর সপ্তম উইকেটে অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি ও গুলবাদিন নাইব ৪৫ বলে ৭১ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ খেলেন। আফগানিস্তানের স্কোর ছয় উইকেটে ১৪৭ রানে পৌঁছে যায়। আফগানিস্তান ১৮ তম ওভারে ইনিংসের সর্বোচ্চ ২১ রান যোগ করে। সেই ওভারে নাইব একটি ছক্কা এবং দুটি চার মেরেছিলেন। নাইব (২৫ বলে চারটি চার ও এক ছক্কা) এবং নবী (৩২ বলে পাঁচটি চার) দুজনেই অপরাজিত ৩৫-৩৫ রান করেন। এই দুজনের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে আফগানিস্তান লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে যায়।
সেমিফাইনালের আশা-
পয়েন্ট টেবিলের দিকে তাকালে আফগানিস্তান এখনও দুনম্বরে। আফগানিস্তান এখনও পর্যন্ত একটি ম্যাচে জিতেছে। একটিতে হেরেছে। আফগানিস্তানের এখনো তিনটি ম্যাচ বাকি। অর্থাৎ সেমিফাইনালে ওঠার আশা এখনো বেঁচে আছে তাদের।