ভন মনে করেন ভারতের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ব্যর্থতার জন্য এই সিদ্ধান্ত অনেকটাই দায়ী। বিসিসিআইয়ের উচিত বিরাট, রোহিত, রাহুল, শামিদের অন্য দেশের লিগে খেলতে দেওয়া। তার ফলে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের টি টোয়েন্টি দক্ষতা নিয়ে হোমওয়ার্ক করার সময় পাবে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ২০১১-র পর ভারত বিশ্বকাপের মঞ্চে সাড়া জাগিয়ে প্রত্যাশিত ফল পায়নি ঠিকই, কিন্তু শেষ চারে পৌঁছেছিল। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে এবার তো গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হবে।
advertisement
মনের কোনে বারবার ভেসে উঠছিল ১৪ বছর আগের কলঙ্কিত ইতিহাস। ২০০৭ সাল। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে বাংলাদেশের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে হেরে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ের ভারত।মরুদেশের ব্যর্থতা নিয়েও পর্যালোচনা প্রয়োজন। দরকার ময়নাতদন্ত। চাওয়া উচিত ম্যানেজার, কোচের রিপোর্ট। ক্যাপ্টেন হিসেবে বিরাট কোহলি ব্যর্থ। সেটা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই।
তিনি হয়তো দেওয়াল লিখন পড়তে পেরেছিলেন। তাই সময় থাকতেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন টি-২০ বিশ্বকাপের পর আর এই ফরম্যাটে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন না। তাতেও কোহলির নিস্তার নেই। এবার তাঁকে পাকাপাকিভাবে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি উঠবে। কিন্তু যাঁদের হাতে আগামীর দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবছেন বোর্ড কর্তারা, তাঁরা পার পাবেন কেন? এত তারকা নিয়ে যদি এই ফল হয়, কোটি কোটি দেশাবাসীকে চোখের জল ফেলতে হয়, তাহলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
পাকিস্তানের কাছে হারের ধাক্কা ভুলে রবিবার সন্ধ্যায় টিভি’র পর্দায় চোখ রেখেছিলেন কোটি কোটি ভারতীয় সমর্থক। প্রত্যাশা ছিল, কিউয়িদের বিরুদ্ধে দিওয়ালির রোশনাই জ্বলবে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের খেলায়। কিন্তু দুবাইয়ে যা ঘটল, তা সত্যিই অকল্পনীয়। প্রত্যাশার বুর্জ খলিফা ভেঙে পড়ল হুড়মুড়িয়ে। মনে হচ্ছিল, পেট্রোলের রেকর্ড দর হয়তো টপকাতে পারবে না টিম ইন্ডিয়া। সাম্প্রতিককালে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের এমন দৈন্য দশা দেখা যায়নি।