এর ফলে এখন যেটা দাঁড়াল, তাতে বিনা শর্তে বোর্ডকে মানতে হবে লোধার সুপারিশ ৷ লোধার সুপারিশ পূর্ণাঙ্গ রূপায়ণ নিয়ে বিসিসিআইয়ের কাছে জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ জবাব যদি বোর্ড না দেয়, তাহলে আগামীকাল, শুক্রবারই মামলার রায়দান দেবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ৷ বিসিসিআয়ের ভাগ্য তাই শুক্রবার পর্যন্ত ঝুলেই রইল ৷ বোর্ডের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত ৷ লোধার সুপারিশগুলির মান্যতা নিয়ে এতটাই কড়া শীর্ষ আদালত যে রাজ্যের সংস্থাগুলোকে আর্থিক অনুদান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ বিচারপতি আজ বলেন, ‘‘যারা লোধা সুপারিশকে মান্যতা দিতে চায় না, সেই রাজ্য সংস্থাগুলোকে টাকা দেওয়া যাবে না ৷ সংস্কার না চাইলে টাকা চাওয়ার অধিকার নেই ৷ ’’
advertisement
এদিকে লোধা-বোর্ডের সংঘাত এখন এমনই চরম পর্য়য় যে এবার কমিশনের তরফে, অনুরাগ ঠাকুর, অজয় শিরকে-সহ ছয় বিসিসিআই কর্তার অপসারণ চাইলেন আদালত । আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুরের ডিভিশন বেঞ্চে এই দাবি তোলেন মামলায় সাহায্যকারী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম। তাঁর দাবি, কমিশনের কোনও সুপারিশই মানেনি বোর্ড, তাই এই ছয় কর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হোক। যদিও, অনুরাগ ও অজয় ছাড়া বাকি বোর্ড কর্তাদের নামও সামনে আনতে বলেছেন বিচারপতিরা। বোর্ডের পাল্টা দাবি, সুপারিশ না মানার দাবি ভিত্তিহীন। প্রাথমিক ভাবে লোধা কমিশনের নির্দেশে ফ্রিজ করা হয়েছে বোর্ডের একটি অ্যাকাউন্ট। বেসরকারি এই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে মূলত স্পনসরের সঙ্গে লেনদেন করত বিসিসিআই। লোধা কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, বোর্ডের তহবিলে জমা প্রায় ১১০০ কোটি টাকার কোনও অঙ্কই ৩০টি নোডাল সংস্থার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া যাবে না। এমনকী, ২৯ সেপ্টেম্বরের পর রাজ্য সংস্থাগুলিকে বিসিসিআই যে পাওনা টাকা ফেরত দিচ্ছে তাও বেআইনি। এই নিয়ে বোর্ড তো বটেই, রাজ্য সংস্থা ও সুপ্রিম কোর্টকেও সুপারিশের কপি পাঠানো হয়েছে লোধা কমিশনের তরফে।