এই দলের প্রায় সব প্লেয়ারই প্রথমবার দেখল ফ্যানেদের ভালবাসা কাকে বলে। তারা যেমন ট্রফি জেতার চাপ দেন, পারফরম্যান্স ভাল না হলে ক্ষোভও উগরে দেন, ঠিক তেমনই ট্রফি জিততে পারলে চোখের মণির মত আগলে রাখেন প্লেয়ার-কোচকে। এমন দৃশ্য দেখে আবেগে ভেসে যান ইস্টবেঙ্গল প্লেয়াররা। সবথেকে বেশি উচ্ছ্বাস দেখা যায় কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত বেরিয়ে আসতেই। টিম বাস ঘিরে চলে উল্লাস।
advertisement
দমদম বিমান বন্দর থেকে ক্লাবে নিয়ে যাওয়া ট্রফি। সেখানে রীতি মেনে ট্রফি জয়ের আনন্দে মিষ্টি মুখ করানো হয়। তোলা হয় দলের পতাকাও। ক্লাবেও তখন ফ্যানেদের উপচে পড়া ভিড়। এ যেন অনেকটা দীর্ঘ দিন পর প্রাণ ফিরে পেয়েছে ময়দানের লাল-হলুদ তাবু। আবার যেন দাউ-দাউ করে জ্বলতে শুরু করেছে লাল-হলুদ মশাল।
আরও পড়ুনঃ East Bengal: দলকে জেতালেন, ট্রফি তুলে দিলেন ‘বাঙালির’ হাতে, মন জিতে নিলেন ক্লেইটন
প্রসঙ্গত, সুপার কাপের ফাইনালে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে লাল-হলুদকে সমতায় ফেরান নন্দকুমার। পরে ক্রেসপোর গোলে এগিয়ে যায় কুয়াদ্রাতের দল। ইনজুরি টাইমের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পায় ওড়িশা। সেখান থেকে গোল করে ওড়িশাকে সমতায় ফেরান জহৌ। ২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলায় দুই দলই কোনও গোল করতে পারেনি। আর দ্বিতীয়ার্ঝের ১১১ মিনিটে অনবদ্য গোল করে ইস্টবেঙ্গলের জয় নিশ্চিৎ করেন অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা।