আইএসএলের গত দুই মরশুমে ইস্টবেঙ্গলকে পাওয়া গিয়েছে ছন্নছাড়া অবস্থায়। যে ইস্টবেঙ্গল নামলেই মোহনবাগান কার্যত ছেলেখেলা করত তাদের নিয়ে। সেই দলকে কুয়াদ্রাত রাতারাতি বদলে দিতে পারেননি। তবে তিনি দলটাকে একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে ফেলেছেন। সেই প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে কাজ করছে।
আরও পড়ুন- মহম্মদ শামি এবার ভারতীয় সেনায়! বাংলার পেসার কি এবার দেশে সেবায়!
advertisement
এখন ইস্টবেঙ্গল জনতার কাছে ভরসার মুখ কোচ। সুপার কাপে নামার আঘে তিনটি ম্যাচে ড্র করেছে ইস্টবেঙ্গল। যে দলটা একটা সময় টানা হারে জেরবার ছিল, তাদের একটা ঠিকঠাক জায়গায় দাঁড় করিয়েছেন তিনিই। আগামীকাল তাই মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের সেরা বাজি কোচই।
তারকাসমৃদ্ধ মোহনবাগানকে ডুরান্ড কাপের প্রথম ডার্বিতেই হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সৌজন্যে কোচ কুয়াদ্রাত। বিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা যাচাই করতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এই ইস্টবেঙ্গলের সব থেকে দুর্বল জায়গা যে রক্ষণ, তা তিনি ধরে ফেলেছিলেন আগেই। আর সেই রোগ সারাতেই তিনি উঠেপড়ে লাগেন সবার আগে।
শুক্রবারের ডার্বিতে নামার আগে মোহনবাগানের সাত জন ফুটবলার নেই। সবাই জাতয়ী দলের জন্য খেলতে গিয়েছেন। একজন ফুটবলারের চোট। মোহনবাগান সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা বলছেন, আটজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে ছাড়া তাঁরা ডার্বি খেলতে নামছেন। তবুও চাপ নিচ্ছে না তাঁর দল। যাঁরা আছেন, তাঁদের দিয়েই জিতবেন ডার্বি।
আরও পড়ুন- সৌরভ কখনও রাজনীতিতে আসবেন? মুখ্যমন্ত্রী হলে কী কী কাজ করবেন? জবাব দিলেন ‘দাদা’
আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস এখনও কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেননি। ফলে ডার্বির গুরুদায়িত্ব গিয়ে পড়েছে মিরান্ডার উপর। শুক্রবার তাঁর মগজাস্ত্রের উপর ভর করেই ডার্বি জিততে নামবে মোহনবাগান। আর বড় ম্যাচের আগে তিনি হুঙ্কার ছেড়েই রাখলেন- এটা আরেকটা ম্যাচ আমাদের কাছে। বাড়তি কোনও চাপ নিচ্ছি না। আমরা সেরাটা দিয়েই খেলব।