গাভাসকার মনে করেন ক্রিকেটারদের থেকে সেরাটা আদায় করে নিতে জানেন রোহিত। অধিনায়ক হিসেবে দলের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য তিনি। কিন্তু আগামী কয়েকটা মাস রোহিত শর্মার কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জের হতে চলেছে। প্রধান কারণ অবশ্যই ক্রিকেটারদের মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে সঠিক জায়গায় রাখা। বিভিন্ন ক্রিকেটারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সুযোগ দিতে হবে। পরবর্তী দু মাসের ভেতর একটা নির্দিষ্ট ১৮ জনের দল তৈরি করতে হবে ভারতকে।
advertisement
গাভাসকার নিশ্চিত বিসিসিআই রাহুল দ্রাবিড় এবং রোহিত শর্মার সঙ্গে এই চূড়ান্ত ১৮ জন নিয়ে সবসময় যোগাযোগ রাখবে। কোর টিম তৈরি হয়ে গেলে বছরের শেষে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছকে ফেলা সম্ভব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে সূর্য তিন ম্যাচে ১০৭ রান করেছেন। আর এক নবাগত ভেঙ্কটেশ আইয়ার তিন ম্যাচে ৯২ রান করার পাশাপাশি বল হাতেও দলকে আশ্বস্ত করেছেন।
অধিনায়ককে স্বস্তি দিয়েছেন হর্ষল পটেলও। এসব ইতিবাচক কারণের জন্যই রোহিত বলছেন, আগে এই দল রান তাড়া করে জিতে যেত। কিন্তু সেই দলের অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই এই মুহূর্তে নেই। আমরা এখন আগে ব্যাট করে বা রান তাড়া করে, দু’ভাবেই জিতছি। মাঝের সারির ব্যাটাররাও নতুন হলেও নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। তাই এই সিরিজ়ের সাফল্যে আমি খুশি।
যোগ করেছেন, আনন্দ আরও বেশি হচ্ছে এই কারণেই যে, যা করতে চেয়েছি সেটাই হয়েছে। আমাদের দলে এই মুহূর্তে তরুণ ক্রিকেটার অনেকে রয়েছে। তা সত্ত্বেও রান তাড়া করে জিততে সমস্যা হয়নি। যোগ করেছেন, চেয়েছিলাম, নতুন ছেলেরা বুঝতে শিখুক চাপের মুখে কীভাবে ব্যাট করতে হয়। সেটা ওরা করে দেখিয়েছে। তার জন্য আমি গর্বিত। এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটা সেরা নির্দশন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল আমাদের মাঝের সারির ব্যাটাররা রান পেয়েছে।
বোলিং বিভাগের প্রশংসা শোনা গিয়েছে রোহিতের মুখেও। বলেছেন, ওয়ান ডে সিরিজ়ে সিম বোলিং বিভাগ নিয়ে আমি খুশি। টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ইডেনে হর্ষল ছিল নতুন সংযোজন। আবেশ খান প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলল। শার্দূলও ছন্দে রয়েছে। আমাদের কাজ ছিল ওদের খেলিয়ে দেখে নেওয়া। ওরা নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচটি করে টি টোয়েন্টি খেলবে ভারত।