শেষবার ইডেনে ম্যাচ দেখতে দর্শক এসেছিলেন করোনা আসার আগে ভারত-বাংলাদেশ গোলাপি বল টেস্ট ম্যাচে। তারপর থেকে দর্শক প্রবেশ বন্ধ ছিল সব রকম ম্যাচে। এদিন টুর্নামেন্টের ফাইনালে নির্দিষ্ট তিনটি গেট দিয়ে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। শ’খানেক দর্শকের সামনে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্যারাকপুর ব্যাশার্স। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে কলকাতা হিরোজকে ৫ রানে হারায় সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের (Sudip Chatterjee) দল।
advertisement
আরও পড়ুন- ঠিক কী দেখে প্রেমে পড়ে যাই আমরা? বলে দেবে রাশিচক্র
ব্যারাকপুর ব্যাশার্সের অধিনায়ক তথা বাংলার তারকা সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাটে ভর করে চ্যাম্পিয়ন তকমা ছিনিয়ে নিল ব্যারাকপুর। ফাইনালে ৩৫ বলে ৬২ রান করা ছাড়াও টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান করে প্রতিযোগিতার সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন সুদীপ। আইপিএলের ধাঁচে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে জমকালো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল সিএবি। বিভিন্ন জেলার নামে নামকরণ করে ৬টি দল ভাগ করা হয়। নিলামের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয় ক্রিকেটার।
প্রত্যেকটি দলের সঙ্গে বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটাররা যুক্ত ছিলেন। প্রতিভাবান ক্রিকেটার তুলে আনার জন্যই এই টুর্নামেন্ট গত বছর থেকে আয়োজন করছে সিএবি। সেপ্টেম্বর মাসে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজন করলেন সিএবি কর্তারা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনাল ১৫ ওভার আয়োজিত হয়। প্রথমে ব্যাট করে ব্যারাকপুর ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে। অধিনায়ক সুদীপের হাফসেঞ্চুরি ছাড়াও অর্ধশত রান করেন ওপেনার অঙ্কুর পাল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ১৪৯ রান তোলে কলকাতা।
করণ লাল ৪৯ করেন। শুভঙ্কর বল ১২ বলে ২৮ রানে ঝোড়়ো ইনিংস খেলে একটা চেষ্টা করেছিলেন। শেষ ওভারে কলকাতা হিরোজের জয়ের জন্য ৩০ রান দরকার ছিল। শেষ পর্যন্ত অন্তিম ওভারে ২৩ রান যোগ করতে সক্ষম হয় কলকাতা হিরোজ। গোটা টুর্নামেন্টে ৪৭৮ রান করে প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হন সুদীপ। টুর্নামেন্টে ১৪টি উইকেট নিয়ে ব্যারাকপুর দলের সুরজিৎ যাদব সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপকের স্বীকৃতি পান। ফাইনালের আগে ইডেনে অনুষ্ঠান করে বাংলা ব্যান্ড দোহার। প্রথমবার ইডেনে গান গেয়ে চমক দেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা প্রাক্তন মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
ঈরন রায় বর্মন