TRENDING:

Sucess Story: না নেই ওর এক পা! তাতে কী গঙ্গার গভীর জলে ৮১ কিমি শরীর উঠল-নামল, জল তোলপাড় করলেন হাত ও বুক দিয়ে

Last Updated:

Success Story: এক পায়ে‌ই ভাগীরথি নদীতে ৮১কিমি সাঁতার! অবাক করলেন শাশ্রুতি, সারাদিনে স্নান খাওয়ার সময়টুকু বাদে দিনের সবটুকু সময়ই তার কাটত জলে, আয়ত্ত করত পায়ের ব্যবহার ছাড়াই জলে ভেসে থাকার নানাবিধ কৌশল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বহরমপুর: ৭৯তম সন্তরণ প্রতিযোগিতায় স্টিলের পা নিয়ে সমস্ত প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে গঙ্গা বক্ষে সাঁতারে অংশগ্রহণ করে চমকে দিলেন এক তরুণী। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা শাশ্রুতি বিনায়ক নকাডে যখন সাঁতার শেষ করে ভাগীরথী নদী ছাড়লেন তখন সবাই তাকে উৎসাহ দিলেন। এবছর বিশ্বের দীর্ঘতম ৮১ কিলোমিটার সন্তরণ প্রতিযোগিতায় আহিরন ভাগীরথী নদীতে সমস্ত প্রতিযোগীর সঙ্গে অংশগ্রহণ করলেন সুদূর মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা শাশ্রূতি বিনায়ক নকাডে।
advertisement

তবে শুধু এখানেই নয়, এরা আগে অনুর্ধ ২০ বছরে এশিয়া গেমসে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও সাঁতারে বিশ্বকাপে সোনার পদক জয়লাভ করে। গত এপ্রিল মাসে শ্রীলঙ্কার তালাইমান্নার থেকে তামিলনাড়ুর ধনুষকোডি পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহণ করেন এই ২১বছরের তরুণী। জানা গিয়েছে, শাশ্রুতি বিনায়ক নকাডে তার ছোটতেই একটি দুর্ঘটনায় তার ডান পা কেটে বাদ যায়। কিন্তু থেমে থাকেননি সে। সাঁতারে পা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজের মনের জোর কে সঙ্গী করেই কৃতিমভাবে স্টিলের পা লাগিয়ে সকলকে চমকে দিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম সন্তরণে অংশগ্রহণ করেছিলেন। রবিবার ভোরে ২১জন প্রতিযোগীর সঙ্গে শাশ্রুতি সেও অংশগ্রহণ করেন আহিরণ ঘাট থেকে। কোনও স্থান অধিকার না করতে পারলেও শেষ করেন তার যাত্রা পথ বহরমপুর গোরাবাজার ঘাটে।

advertisement

আরও পড়ুন – Heavy Rainfall Alert: গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে রয়েছে নিম্নচাপ, এবার সমুদ্রে উঠবে বড় বড় ঢেউ, সপ্তাহের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টি

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ভাগ্যের পরিহাসে ছোট বয়সেই সে হারিয়ে ফেলে তার স্বপ্নপূরণের যাত্রাপথের সারথি তার একটি পা। কিন্তু এই সাঁতারে এসে সবাইকে চমকে দিয়ে মানুষের মন জয় করলেন ভাগীরথীতে বক্ষে। যা থেকে গেল তা হল তার অদম্য মনোবল আর স্বপ্নকে ছোঁয়ার সেই তীব্র বাসনা। সাঁতারু শাশ্রুতি বিনায়ক নকাডে তার কথায়, যে পথে যেতে হবে তা কতটা দুর্গম, সেদিনই উপলব্ধি করেছিল। জলে ঝাঁপ দিয়ে প্রবল বেগে দুহাত দিয়ে কাটাচ্ছে সামনের জল, তবুও কোমর থেকে এক অদ্ভুত ভার যেন শরীরটাকে টেনে নামিয়ে দিচ্ছে নিচের দিকে। আবারও প্রাণপণে ভেসে থাকার চেষ্টা। এইভাবেই শুরু হয় তাঁর কঠিন অধ্যবসায়ের প্ৰথম পর্ব।

advertisement

View More

সারাদিনে স্নান খাওয়ার সময়টুকু বাদে দিনের সবটুকু সময়ই তার কাটত জলে, আয়ত্ত করত পায়ের ব্যবহার ছাড়াই জলে ভেসে থাকার নানাবিধ কৌশল। তাই অংশগ্রহণ করেছিলেন মুর্শিদাবাদে এই বিশ্বের দীর্ঘতম সন্তরণে। ৮১কিলোমিটার যে সহজ হবে না বুঝে ছিলেন আগেই। তবে অবশেষে যাত্রাপথ শেষ করলেন তিনি।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

Kaushik Adhikary

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
Sucess Story: না নেই ওর এক পা! তাতে কী গঙ্গার গভীর জলে ৮১ কিমি শরীর উঠল-নামল, জল তোলপাড় করলেন হাত ও বুক দিয়ে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল